ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলেও জরিমানা করবে না ব্যাংক

দেশব্যাপী চলমান কারফিউ মাঝেমধ্যেই শিথিল করা হচ্ছে। সারাদেশে বেশ কয়েকদিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার পরে আজকে সীমিত পরিসরে চালু করা হয়েছে। অন্যদিকে নির্বাহী আদেশে ৩ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে সীমিতভাবে শুরু হয়েছে ব্যাংক লেনদেন।  কারফিউ, সাধারণ ছুটি ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার কারণে ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলেও দেশের কয়েকটি ব্যাংক গ্রাহকদের উপর কোনো বাড়তি সুদ বা ফি আরোপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইতিমধ্যে এবি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রাহকদের জানিয়ে দিয়েছে।। পাশাপাশি বিদেশি ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেশের আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংক এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক জানিয়েছে, সাধারণ ছুটি এবং ইন্টারনেট বিভ্রাটের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ইতিমধ্যে চার্জ করা হয়েছে এমন কোনও সুদ বা ফি ফেরত দেবে ব্যাংকটি।

ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন অর্থসূচককে বলেন, গ্রাহকরা অনলাইন ব্যাংকিং পরিচালনা করতে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় আমরা সুদ মওকুফ করার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকও এবিষয়ে খুশি হয়ে অন্যান্য ব্যাংকগুলোকে উৎসাহ দিচ্ছেন। আমরা বিএবিকেও এবিষয়ে জানিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকগুলোতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে গত কয়েকদিনের রেমিট্যান্সের অর্থ বেনিফিশিয়ারি হিসাবে ছাড় করা হয়েছে। তবে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে প্রবাসী আয়ে তেমন প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না।

জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ৮০ মিলিয়ন থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠানো হয়। ইন্টারনেট বন্ধের কারণে রেমিট্যান্স আসায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্যাংকের জন্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.