তিন দিনের সাধারণ ছুটি শেষে সীমিতভাবে দেশের সব অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে খোলা হয়েছে তৈরি পোশাক কারখানাসহ অন্যান্য শিল্প কারখানা। এর আগে কারফিউর কারণে শনিবারও তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। এ হিসেবে টানা চারদিন পর তৈরি পোশাক কারখানা খুলেছে।
তবে বিভিন্ন অফিস সীমিতভাবে চললেও নির্দিষ্ট সময়ে ক্রেতাদের কাছে পোশাক পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করতে কারফিউ শিথিলের সময়ের বাইরেও পোাশাক কারখানা খোলা রাখা হতে পারে।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের চলাচলের সুবিধার জন্য তাদের কারখানার আইডি কার্ডকে কারফিউ পাস হিসেবে গণ্য করবে আইনশৃঙ্খলারক্ষা বাহিনী। তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এই তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে কারখানা খুলে দেওয়ার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিদ্যমান কারফিউ পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের চলাচলের জন্য তাদের আইডি কার্ড পাস হিসেবে বিবেচিত হবে। স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলবে কারখানা।
ঢাকা ও এর আশপাশের সব কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে শিল্পপুলিশের বিশেষ ইউনিটসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন— বলা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে সরকার গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাত থেকে কারফিউ জারি করে। পাশাপাশি রবি, সোম ও মঙ্গলবার সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.