কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনায় গায়েবানা জানাজা আদায় করে টিএসসির উদ্দেশে তারা কফিন মিছিল শুরু করলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই ঘটনা শুরু হয় । এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে প্রথমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গায়েবানা জানাজা পড়ে। এরপর তারা মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বরের সামনে যান। সেখানে গায়েবানা জানাজায় ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে কয়েক শ শিক্ষার্থী এসে যোগ দেন। সেখানে দ্বিতীয় দফায় জানাজা পড়েন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা কফিন মিছিল নিয়ে টিএসসির দিকে রওনা দিলে তাদের লক্ষ্য করে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ভিসি আমাদের অভিভাবক। অথচ তার বাসভবনের সামনেই আমাদের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি আজ সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবশ্য আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা হল ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর ছাত্রলীগ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। তাঁদের ধরে ধরে মারধর করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সারা দেশে আন্দোলনকে কেন্দ্র হামলা, সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় ছয়জন মারা যান, যার মধ্যে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীও আছেন। গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাদের কক্ষ ভাঙচুর করেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হল থেকে বের করে দেওয়া হয়।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.