করোনাকালে অনলাইনে শেখার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল বাইজুস। তবে তারা সেই জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেনি। কোম্পানিটি এখন প্রায় দেউলিয়া হয়ে গেছে তারা। যদিও লম্বা সময় ভারত জাতীয় দলের স্পন্সর ছিল শিক্ষাপ্রযুক্তি ফার্ম বাইজুস। তাদের কাছে স্পন্সরশিপ বাবদ প্রায় ১৯ মিলিয়ন ডলার পাওয়া রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় প্রায় ২২৩ কোটি।
গত বছর সেপ্টেম্বরে বাইজুসের মূল সংস্থা থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে সেই মামলা করে বিসিসিআই। শুনানির জন্য ১৫ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার সেই মামলা গ্রহণ করেছে ভারতের আদালত। অবশ্য বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সমোঝতায় পৌঁছাতে চায় তারা।
এরই মধ্যে বিসিসিআইয়ের একটি পিটিশন গ্রহণ করেছে বেঙ্গালুরুর জাতীয় কোম্পানি ল আদালত (এনসিএলটি)। বাইজুসের আর্থিক অক্ষমতার ব্যাপারটি পর্যবেক্ষণেরও আদেশ দেয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। আদালত তার আদেশে বলেছেন, ‘ঋণের উপস্থিতি ও ঋণের দেনা শোধে অপারগতা পরিষ্কারভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে বাইজুসের মুখপাত্র বলেন, ‘সব সময়ই যা করেছি, আমরা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছাতে চাই এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী এ আদেশের পরও সমঝোতায় পৌঁছানো যাবে। এর মধ্যে আমাদের আইনজীবীরা এ আদেশ পর্যবেক্ষণ করছে এবং কোম্পানির স্বার্থরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাইজুসের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেছিল বিসিসিআই। এরপর ২০২৩ সালের জুনে বাইজুসের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর নতুন স্পন্সর নিয়োগ দেয় বিসিসিআই। ইকোনমিকস টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে আয়োজিত প্রতিটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ম্যাচের জন্য ৪.৬ কোটি রুপি দিত বাইজুস।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.