বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের জিম্মি করা হয়েছে এবং ছাত্রলীগের ওপর বিনা উসকানিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিশ্বাসী। এই বর্বর আক্রমণে গণমাধ্যমের অনেক কর্মী আহত হয়েছেন। কিন্তু মিডিয়ার হেডিং (শিরোনাম) দেখলে মনে হয়, সব আক্রমণে আক্রমণকারী ছাত্রলীগ। যদিও বেশি আক্রান্ত হয়েছে ছাত্রলীগ। হলে হলে ছাত্রলীগের মেয়েদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বইপুস্তক, জামাকাপড় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও এই অবস্থা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) আওয়ামী লীগ এবং সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির এই আন্দোলনকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ দিতে চাইছে। কোটা আন্দোলন ঘিরে বিএনপি-জামায়াত লাশের রাজনীতি করতে চায়। ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ ও চট্টগ্রামে সন্দীপনকে হত্যা করা হয়েছে। শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা ছয় তলার ছাদ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। এর মধ্যে একজনের প্রাণহানিসহ বেশির ভাগই গুরুতর আহত হয়েছে। সবার প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনও দাবির প্রতি শেখ হাসিনার সরকার সহনশীল। তরুণ প্রজন্ম সংঘর্ষে লিপ্ত হবে, এটা কাম্য নয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আঘাত করলে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করলে, জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করলে সরকারকে কঠোর হতেই হয়।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.