বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের দক্ষতা উন্নয়নে সুইসকন্ট্যাক্টের ভূমিকা

সম্প্রতি সুইসকনট্যাক্ট বাংলাদেশ একটি নেটওয়ার্কিং এবং এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিং সভার আয়োজন করেছে। রাজধানীর রেনেসাঁ হোটেলে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

‘ফ্যাব্রিক অব চেঞ্জ: বাংলাদেশে পোশাকশিল্পে নিয়োজিত কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে সুইসকনট্যাক্টের ভূমিকা’ শীর্ষক এই ইভেন্টে সুইসকনট্যাক্টের পূর্বদর্শী প্রকল্পসমূহ: সারথী, প্রগ্রেস, এবং বাইটসের উদ্ভাবন, অগ্রগতি ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সংস্থাটির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সভার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সুইসকনট্যাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান সেজান। উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে বাইটস প্রকল্পের টিম লিডার নাদিয়া আফরিন শামস্ সুইসকনট্যাক্টে চলমান প্রকল্প বিষয়ক একটি তথ্যবহুল উদ্ভাবনী বক্তৃতা প্রদান করেন। এছাড়াও, সুইসকনট্যাক্টের মুখ্য প্রকল্পগুলির মুখপাত্ররা- সালমা আক্তার (সারথী), মীর রাফিয়াত সালমান (প্রগ্রেস) এবং মো. মুনতাসির (বাইটস) – তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ও কর্মীদক্ষতা উন্নয়নে গ্রহণকৃত উদ্যোগসমূহের বিষয়ে আলোকপাত করেন।

উক্ত আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, সহ-সভাপতি মো. আক্তার হোসেন অপূর্ব, রাজেশ ভেদা কনসাল্টিং বিডি প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রাজেশ ভেদা এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ স্ট্র্যাটেজিক এনগেজমেন্টস বিষয় পরিচালক ওমর গিয়াস, প্যানেল ডিসকাশনের সময় তাদের মূল্যবান অভিজ্ঞতার আলোকে নানান প্রশ্নের উত্তর ও পরামর্শ দেন।

সুইসকনট্যাক্ট বাংলাদেশের হেড অব প্রোগ্রাম ফজলে রাজিক তার সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নে সংস্থাটির প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।

উল্লেখ্য, ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সুইসকনট্যাক্ট বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়নের একটি চালিকা শক্তি এবং শুধুমাত্র বাংলাদেশেই বার্ষিক ১ লাখ ৭০ হাজার জনেরও বেশি ব্যক্তির জীবনকে প্রভাবিত করে চলেছে। গত ২০ বছরে, সুইসকনট্যাক্ট বাংলাদেশ মোট ১১টি সম্পন্ন ও চলমান প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তাদেরকে কেন্দ্র করে কাজ করছে এবং ইতিমধ্যে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীকে সহায়তা করেছে, যাদের অর্ধেকই নারী।

এছাড়াও, সুইসকনট্যাক্ট বাংলাদেশ ৫০টিরও বেশি বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রদানকারীর সাথে সক্রিয় অংশীদারিত্ব বজায় রাখে। এই সহযোগিতার লক্ষ্য পাঠ্যক্রমের মান উন্নত করা, প্রশিক্ষণ প্রদানের পদ্ধতি উন্নত করা, প্রশিক্ষকদের দক্ষতা জোরদার করা এবং প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য সর্বোত্তম চাকরির স্থান নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রস্তুতকারক শিল্পের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন করা।

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.