ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিচার শুরু ৫ আগস্ট

অর্থ আত্মসাৎ

গ্রামীণ টেলিকম ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার শুরুর জন্য আগামী ৫ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এ দিন ধার্য করেন। এর আগে সকাল ১১টার দিকে ড. ইউনূস তার আইনজীবীসহ আদালতে হাজির হন।

আজ আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। ড. ইউনূসসহ ১৪ জন আদালতে হাজিরা দেন। মামলার বাদী সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত হন। এরপর অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি উচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। অন্যদিকে দুদকের প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল মামলাটির সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে শুনানি করেন। তিনি বলেন, মামলাটি উচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষা থাকলেও সাক্ষ্য দেওয়া যায়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আগামী ৫ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৩০ মে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার। দুদকের মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। চার্জশিটে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত হয়েছে।

আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, পারভিন মাহমুদ, এম শাহজাহান, নুরজাহান বেগম ও এসএম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মাওলানা হোসেন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান, আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ ও ইউসুফ আলী।

অভিযুক্ত ১৪ জনই বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। গত বছরের ৩০ মে গুলশান আনোয়ার ঢাকায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.