গতবার ইউরো কাপের ফাইনালে তারা হেরেছিল ইতালির কাছে। এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর আরও একবার ফাইনালে স্বপ্ন ভাঙল ইংল্যান্ডের। এদিকে এক যুগ পর ইউরোর চ্যাম্পিয়ন হয়ে দীর্ঘদিনের ট্রফি খরা ঘুচালো স্পেন। তারাই এখন এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতা দল।
প্রথমার্ধে কোনও দল গোল না পেলেও বিরতির পর ফিরেই জাল কাঁপায় স্পেন। দৃশ্যপট বদলে দেন নিকো উইলিয়ামস। প্রথমার্ধে নিজের ছায়া হয়ে থাকা ইয়ামাল ছিলেন স্পেনের গোলের মূল কারিগর। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে লামিনে ইয়ামালের নিখুঁত পাসে দৌড়ে এসে বাঁ-পায়ের শটে পিকফোর্ডকে পরাস্ত করেন উইলিয়ামস। গোলের আনন্দে মেতে ওঠে স্প্যানিশরা। ১ মিনিট পর দ্বিতীয় গোল পেতে পারত তারা। কিন্তু বক্সের ভেতরে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ওলমোর শট দূরের পোস্ট দিয়ে চলে যায়। গোল দেওয়া স্পেন হয়ে ওঠে আরও বিধ্বংসী। ৬৬ মিনিটে বক্সের ভেতরে বাঁ প্রান্ত থেকে ইয়ামালের শর্ট পিকফোর্ডের হাতে না লাগলে চলে যেত জালে।
৭০ মিনিটে মাইনুর বদলি নামা কোল পালমার ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। মাঠে নামার চতুর্থ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রকেট গতির শটে জাল কাঁপান তিনি। ৭৩ মিনিটে সাকা ডানপাশ দিয়ে বক্সের মধ্যে বল বাড়ান। বেলিংহ্যাম বক্সের বাইরে ফাঁকা জায়গায় থাকা পালমারকে বল পাঠান। বক্সের প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের জোরালো নিচু শট নেন, ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও বল আটকাতে পারেননি সিমন। আরেকবার সুপার সাব এসে বাঁচিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় দলটি।
গোল হজম করে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্পেন। ৮২ মিনিটে উইলিয়ামস বল নিয়ে সামনে আগান। ওলমোকে দিয়ে বল বানিয়ে দেন ইয়ামালকে। ১৭ বছর বয়সী উইঙ্গারের শট দুই হাত দিয়ে রুখে দেন পিকফোর্ড। তবে ৮৬ মিনিটে বদলি মিকেল ওয়ারজাবালার গোলে মেতে ওঠে স্পেনের গ্যালারি।
৯০ মিনিটে দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিল ইংলিশরা। বক্সের মধ্যে ডেকলান রাইসের হেড ঠেকান স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমন। ফিরতি বলে আবার হেড করেছিলেন মার্ক গুয়েহি। এবার গোললাইনে দাঁড়িয়ে সেটি আটকে দেন দানি ওলমো। ফের রাইসের হেড একটুর জন্য জাল পায়নি। থেমে যায় ইংলিশদের চিৎকার। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই আনন্দে মেতে ওঠে স্প্যানিশরা। ইংলিশরা তখন হতাশায় নিমজ্জিত। কারণ ২-১ গোলে তাদেরকে হারিয়ে রেকর্ড চতুর্থ ইউরো শিরোপা জিতলো স্পেন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.