বাংলাদেশ রেলওয়ের চাকরিতে ১৪তম গ্রেড হতে ২০তম গ্রেডে মোট শূন্য পদের ৪০ ভাগ পোষ্যকোটার বিধান সংবিধানের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রবিবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে রেলওয়ের সচিব ও আইন সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান।
‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাডারবর্হিভুত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা,২০২০’ নিয়ে ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ বিধিমালার নিয়োগ পদ্ধতি সংক্রান্ত ৩ বিধির উপবিধি ৩ এ বলা হয়, উপ বিধি (১) ও (২) এ যা কিছু থাকুক না কেন সরাসরি নিয়োগযোগ্য ১৪তম গ্রেড হতে ২০তম গ্রেডের মোট শূন্য পদের শতকরা ৪০ ভাগ পদ যোগ্যতাসম্পন্ন পোষ্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
পরে আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান জানান, সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদ মতে, নাগরিকদের যেকোনও অনগ্রসর অংশ যাতে প্রজাতন্ত্রের কাজে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান-প্রণয়ন করার কথা আছে। কিন্তু সরকারি কর্মচারী তো অনগ্রসর নাগরিক নয়। তাহলে তাদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা কেন রাখা হবে। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই বিধিামালার ওই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। আদালত রুল জারি করেছেন। ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.