ঋণ খেলাপির মামলায় মহিলা লীগের নেত্রী বেবি গ্রেফতার

পটুয়াখালী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বেবীকে ৯ কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ জুলাই) পটুয়াখালী শহরের ফায়ার সার্ভিস রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে পটুয়াখালী বিসিকের একটি টেক্সটাইল কোম্পানির নামে দুই কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ঋণ নেন জাকিয়া সুলতানা বেবীর স্বামী সিরাজুল ইসলাম। প্রতিষ্ঠানটির ৭৫ ভাগ শেয়ার স্বামী সিরাজুল এবং ২৫ ভাগ শেয়ার স্ত্রী জাকিয়ার নামে দেখানো হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠানটির শতভাগ শেয়ারের মালিক হন জাকিয়া সুলতানা বেবী। টেক্সটাইলটি মাস দুয়েক চালু থাকার পর পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ব্যাংকের বকেয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ কোটি ৩৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এ ঋণের অর্থ পরিশোধ না করায় ব্যাংক ম্যানেজার বাদী হয়ে ২০০৪ সালে পটুয়াখালী অর্থ ঋণ আদালতে জাকিয়া সুলতানা বেবীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

ব্যাংকঋণ নেওয়ার পর ঋণের দায় পরিশোধ না করায় ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর পটুয়াখালী যুগ্ম জজ আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বেবীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমানের বলেন, এই মামলার ঋণখেলাপি জাকিয়া সুলতানা বেবী গ্রেফতার হয়েছেন জানতে পেরেছি। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সুদে-আসলে বর্তমান লেজার স্থিতি অনুযায়ী সুদ মওকুফের পর তার কাছে ব্যাংকের বকেয়া পাওনা হয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা।

সদর থানার ওসি জসীম বলেন, প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যাংকঋণের মামলায় আদালতের পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.