ফ্র্যাঞ্চাইজি ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তায় গুরুত্ব কমতে শুরু করেছে টেস্টের। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কাড়িকাড়ি টাকা থাকায় তরুণ প্রতিভাবান থেকে তারকা ক্রিকেটারদের অনেকের কাছে তা প্রাধান্য পাচ্ছে টেস্ট কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আগে। যার প্রকোশ বাড়তে শুরু করেছে ক্রমশই। সবশেষ কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে বেড়াচ্ছেন। সাদা পোশাকের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ফেরাতে কিংবা মর্যাদা ধরে রাখতে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর কথা তুলে ধরেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) এবং ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
স্টিভ ওয়াহ একবার পরামর্শ দিয়েছিলেন আইসিসিকে এগিয়ে আসার। লাল বলের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে চালু করা হয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপও। তবুও পুরনো অবস্থা ফিরতে পারছে না টেস্ট। সাদা পোশকের ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে রবি শাস্ত্রী অবশ্য ভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন। বেশিরভাগ দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট বিশেষ করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রমোশন ও রেলিগেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আইসিসির কাঠামোতে অবশ্য বর্তমান কিছু নেই। তবে টেস্টের জন্য এমন কিছু চালু করতে বলছেন শাস্ত্রী। যেখানে ১২ দলের মাঝে শীর্ষ ছয় কিংবা সাতটি দল প্রথম স্তরে এবং বাকিরা দ্বিতীয় স্তরে খেলবে বলে মত দিয়েছেন ভারতের সাবেক প্রধান কোচ। মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে শাস্ত্রী এসব কথা বলেন।
বর্তমান সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ২০ ওভারের ক্রিকেট। যেখানে আধিপত্য বিস্তার করছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), পিএসএল, সিপিএল, বিপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলো। ক্রিকেটারদের মতো দর্শকরাও বুঁদ হয়ে থাকছেন চার-ছক্কা আর মারকাটারি ব্যাটিংয়ে। ক্রিকেটে টাকাকে নোংরা হিসেবে দেখালেও খেলাকে বাঁচাই রাখার এটাই একমাত্র উপায় বলে মনে করেন শাস্ত্রী।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.