মামলা বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদনের শুনানি বুধবার

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ অভিযোগ গঠনের বৈধতা ও এ সংক্রান্ত মামলাটি বাতিল চেয়ে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাতজনের আবেদনের শুনানির জন্য বুধবার (১০ জুলাই) দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ মামলায় আজ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল আগামীকাল শুনানি করতে চান। এরপর আগামীকাল বেলা ১১টায় শুনানির জন্য রেখেছেন।

দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

১২ জুন ওই মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের নামে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন ধার্য করা হয়। এ অবস্থায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা নিয়ে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ড. ইউনূস হাইকোর্টে আবেদন করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, সাবেক এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ এবং গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মাইনুল ইসলাম।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.