সাম্প্রতিক বছরগুলোতে থাইল্যান্ডে মুসলিম ট্যুরিস্টের সংখ্যা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই থাইল্যান্ডের সরকার দেশটিকে এ অঞ্চলে ‘হালাল টুরিজম’ এর কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।
ব্যাংকক পোস্টের এক সংবাদে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ব্যাংকক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সামগ্রিকভাবে থাইল্যান্ড এক্ষেত্রে ১৪৫ টি দেশের মধ্যে ৩২ তম স্থানে রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া শীর্ষস্থানে রয়েছে।
থাইল্যান্ডের একজন মুখপাত্র চাই ওয়াচারোঙ্কের মতে, থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন দেশটিকে মুসলিম-বান্ধব গন্তব্য হিসেবে প্রচার করার জন্য সমস্ত পর্যটন-সম্পর্কিত সংস্থাসমূহকে নির্দেশ দিয়েছেন।
চাই’র বিবৃতিটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ক্রিসেন্ট রেটিং এন্ড মাস্টারকার্ড প্রকাশিত গ্লোবাল মুসলিম ট্রাভেল ইনডেক্সে নন-ওআইসি (অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন) দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড পঞ্চম স্থান লাভ করেছে। মুসলিম ভ্রমণকারীদের জন্য প্রদত্ত সুবিধাগুলোর উপর ভিত্তি করে এই র্যাংকিং করা হয়। সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে হালাল খাবারের বিকল্প, ভ্রমণের পরিবেশ এবং প্রার্থনার স্থানে প্রবেশের সহজলভ্যতা।
তথ্য বলছে, বিশ্বে হালাল টুরিজম শিল্প দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছর কমপক্ষে ১৬ কোটি ৮০ লাখ মুসলিম বিশ্ব ভ্রমণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। চাই’র মতে, প্রাক-মহামারী স্তরের তুলনায় যা কিনা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
চাই আরও বলেছেন, থাইল্যান্ড মুসলিম পর্যটকদের নিকট আকর্ষণীয়। কারণ এখানে বহুসাংস্কৃতিক পরিবেশ এবং মুসলিম-বান্ধব সুযোগ-সুবিধা সহ হালাল খাবারের বিকল্প নির্বাচনের সুযোগ রয়েছে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.