ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে হোয়াইট হাউসের মুখ্য কৌশলবিদ হিসেবে কাজ করতেন স্টিভ ব্য়ানন। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের জয়ের পিছনেও তার হাত ছিল। এবার সেই চার মাসের কারাদণ্ড হলো স্টিভ ব্য়াননের। জেলে যাওয়ার আগে তিনি নিজেকে একজন রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে অভিহিত করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কংগ্রেসের সমন অগ্রাহ্য় করেছেন।
৬ জানুয়ারি ক্য়াপিটল হিলে হামলা নিয়ে মার্কিন কংগ্রেস যে তদন্ত করছিল, সেখানে ব্য়াননকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কংগ্রেসের সামনে তার টেস্টিমোনি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্য়ানন সেখানে যেতে অস্বীকার করেন। এর ফলে তার বিরুদ্ধে কংগ্রেস কনটেম্পট বা কংগ্রেস অবমাননার নোটিস জারি করে।
এখানেই শেষ নয়, ২০২০ সালে ট্রাম্প বেআইনিভাবে নির্বাচনের ফলাফল বদলে দিতে চেয়েছিলেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়েও ব্য়াননের কাছে কিছু কাগজপত্র চেয়েছিল কংগ্রেস। ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ রাজনীতিক সে সমস্ত কাগজ দিতেও অস্বীকার করেন। এরপরেই তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ব্য়াননকে হাজতবাসের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যান ব্য়ানন। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত লড়েছেন তিনি। কিন্তু সব আদালতই তার হাজতবাসের নির্দেশ বহাল রাখে। সেই মোতাবেক সোমবার তাকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
জেলের বাইরে বেশ কিছু রিপাবলিকান সমর্থক তার সঙ্গে দেখা করেন। তাদেরকে ব্য়ানন বলেন, তিনি একজন রাজনৈতিক বন্দি। রাজনৈতিক কারণে তাকে জেলে যেতে হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের যে বিচারক তাকে হাজতবাসের নির্দেশ দিয়েছেন, তিনিও ট্রাম্পের আমলে নিযুক্ত হয়েছিলেন। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট ব্যাননকে কিছু ছাড় দিতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হলো না।
ব্যাননের বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা আছে। মানি লন্ডারিং বা আর্থিক তছরুপের মতো মামলা তার বিরুদ্ধে আছে। মেস্কিকো সীমান্তে দেওয়াল তোলার জন্য় সাধারণ মানুষের থেকে লাখ লাখ ডলার সাহায্য় নেওয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারের অন্য়তম বিষয় ছিল এটি। সেই টাকা ব্য়ানন নয়-ছয় করেছেন বলে অভিযোগ। শাসনের একদম শেষপর্বে ব্য়াননের শাস্তি মকুবের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু সেই মামলা এখনো চলছে। বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। তবে আপাতত চার মাস জেলে থাকতে হবে ৭০ বছরের এই ট্রাম্পঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদকে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.