ইসরাইলি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর

ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ‘কয়েক ডজন’ কাতিউশা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ।

সংগঠনটি জানিয়েছে, ‘শত্রুর আক্রমণের জবাবে তাদের যোদ্ধারা নাবাতিয়েহ শহর এবং সোহমোর গ্রামে লক্ষ্য করে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় অঞ্চল কমান্ডের প্রধান বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে।’

ইসরাইলের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ রকেটের আঘাতে সাফাদের কাছে ইসরাইলি সেনাদের “আইন জেইটিম” ঘাঁটিতে আগুন ধরে যায়। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরইয়ার ব্যারাকের চারপাশে ব্যাপক মাত্রায় আগুন ধরে যায়।

একইদিন ভূমধ্যসাগরের উপকূলে ইসরাইলি আল-নাকুরা নৌ ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এ সময় বেশ কয়েকজন ইসরাইলি কর্মকর্তা ও সেনা হতাহত হয়েছে।

এদিকে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী একটি বিবৃতিতে বলেছে, আনুমানিক ৩৫টি রকেট লেবানন থেকে ইসরাইলে ঢুকেছে। এয়ার ডিফেন্স সফলভাবে বেশিরভাগ রকেট আটকে দিয়েছে। কোনো আহতের খবর পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বিরকাত রিশা এলাকায় ইসরাইলের গুপ্তচরবৃত্তির সরঞ্জামগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে সরাসরি আঘাত হানে হিজবুল্লাহ। এছাড়া, আজ বিকেল ৩টা ৪ মিনিটে আল-তাইহাত ট্রায়াঙ্গেলের আশপাশে ইসরাইলি সৈন্যদের একটি সমাবেশকে লক্ষ্য করে রকেট দিয়ে সরাসরি আঘাত হানা হয় বলে সংগঠনটি জানিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি নৃশংস অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে নিয়মিত গোলা বিনিময় চলছে। হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার সামি তালেব আবদুল্লাহকে ইসরাইলি বাহিনী হত্যা করার পর থেকে গুলি বিনিময় তীব্রতর হয়েছে। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.