দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর জন্য নতুন কারেন্সি সোয়াপ উইন্ডো গঠন করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)।
২০২৪-২৭ মেয়াদে তিন বছরের জন্য এই কারেন্সি সোয়াপ চালু করা হয়। এখান থেকে সার্কভুক্ত দেশ তথা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান ও আফগানিস্তান কারেন্সি সোয়াপ সুবিধা পাবে। তবে তার জন্য আরবিআইয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সোয়াপ চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। খবর-এনডিটিভির
এছাড়া, পৃথক সোয়াপ উইন্ডোর মাধ্যমে ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ইউরোতে অদলবদল চুক্তি বজায় রাখবে।
দ্য ইকোনোমিক টাইমসের খবরে বলা হয়, মোট ২৫ হাজার কোটি রুপির কারেন্সি সোয়াপ সুবিধা চালু করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে সার্কভুক্ত দেশ কারেন্সি সোয়াপের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। ভারতীয় মুদ্রাকে সমর্থনের জন্য দেশগুলো বিভিন্ন ছাড় পেয়ে থাকবে।
এর আগে ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য চাহিদা বা অর্থপ্রদানের ভারসাম্য সংকট মোকাবিলা করতে ব্যাক-আপ তহবিল সরবরাহের জন্য সার্ক কারেন্সি সোয়াপ ফ্যাসিলিটি চালু করে ভারত।
প্রসঙ্গত, কারেন্সি সোয়াপ প্রথম চালু হয় ১৯৮১ সালে বিশ্বব্যাংক ও আইবিএমের মধ্যে। এটি মূলত আন্তঃদেশীয়। দুই দেশের দুই কোম্পানি বিনিময় হারের ঝুঁকি কমানো এবং অপেক্ষাকৃত কম সুদে পুঁজির সহজলভ্যতার কারণে দুই মুদ্রার এই অদলবদল সুবিধা গ্রহণ করে থাকে। আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্সে এটিকে এক ধরনের ‘হেজিং’ বা নিরাপত্তার ঢাল হিসেবে দেখা হয়। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ কিছু উন্নয়নশীল দেশকে এ সুবিধা দিয়েছিল তারল্যের স্বার্থে।
সোয়াপের প্রক্রিয়ার উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বাংলাদেশ ২০২১ সালে সোয়াপ বা মুদ্রার অদলবদল ব্যবস্থার মাধ্যমে রিজার্ভ থেকে শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ধার দেয়। এর বিপরীতে সমপরিমাণ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা বাংলাদেশ জমা হিসেবে রাখে। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কা সুদসহ ডলারে ঋণ পরিশোধ করে। তখন জমা রাখা শ্রীলঙ্কার মুদ্রা ফেরত দেওয়া হয়।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.