ভেঙে পড়ল দিল্লি বিমানবন্দরের ছাদ

শুক্রবার থেকে দিল্লিতে বৃষ্টি হচ্ছে। তার ধাক্কায় দিল্লি বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনালের ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। যেখানে গাড়ি যাত্রীদের নামায়, সেখানেই ছাদ ভেঙে পড়েছে। এর ফলে অন্ততপক্ষে একজন মারা গেছেন এবং ছয়জন আহত হয়েছেন। অনেকগুলি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক নম্বর টার্মিনাল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ভেঙে পড়া ছাদের নীচে অনেকে আটকে আছেন। ফলে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

দমকলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ছাদ ভেঙে পড়ার খবর পান।

বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রুফ শিট ও থাম ভেঙে পড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। যে জায়গায় গাড়ি এসে যাত্রীদের নামায় এবং যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়, সেখানেই এই ঘটনা ঘটেছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, দিল্লি বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনালের যেখান দিয়ে যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের হন, সেই পুরনো ফোরকোর্টের ছাদ ভেঙে পড়েছে। শুক্রবার থেকে দিল্লিতে প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত কর্মীরা সেখানে কাজ করছেন এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন। এই দুর্ঘটনার পর এক নম্বর টার্মিনাল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। চেক ইন কাউন্টারও বন্ধ রাখা হয়েছে। এর জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

এই টার্মিনাল থেকে ইন্ডিগো ও স্পাইসজেটের বিমান ওঠানামা করে। বেলা দুইটা পর্যন্ত এই টার্মিনাল থেকে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নাইডু জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি মনিটর করছেন।

সফদরজঙ্গের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাত আড়াইটে থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত দিল্লিতে ১৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

দিল্লি থেকে সকালে দেশের ভিতরে প্রচুর বিমান ছাড়ে। ইন্ডিগো ও স্পাইসজেটের বিমান এক নম্বর টার্মিনাল থেকেই মূলত চলাচল করে। সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে আটটা পর্যন্ত কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই-সহ নানা জায়গার একাধিক বিমান চলে। বিমানযাত্রীদের কাছে এই সময়টা পছন্দের কারণ, গন্তব্যে গিয়ে গোটা দিনটা পাওয়া যায়। সেজন্য এই সময় বিমানবন্দরে ভিড় খুবই বেশি থাকে। এক নম্বর টার্মিনালে বেশ কিছুদিন ধরেই সংস্কারের কাজ চলছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, এএনআই

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.