ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এক দিন পর ওই মামলায় জামিন পেলেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত এক হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে একই আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে পূর্বনির্ধারিত শুনানির দিন ধার্য থাকলেও এদিন আদালতে অসুস্থতার জন্য উপস্থিত হতে না পারায় আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনা করেন মামুনুল হক। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁয় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় গতকাল পূর্বনির্ধারিত শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল। তবে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনা করে উপস্থিত হননি। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।
আজ বুধবার তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত এক হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন জানান, মামুনুল হক অসুস্থ। তার অসুস্থতার কাগজপত্রসহ আমরা গতকাল আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেছিলাম। এ অসুস্থতার জন্য তিনি হাজির হতে পারেননি।
আদালত আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। আজ তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানা এলাকায় রয়েল রিসোর্টে স্ত্রীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.