ঘোড়ার মতো ছুটছে ভারতের পুঁজিবাজার। গতকাল মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো ৭৮ হাজার ছাড়িয়েছিলো সেনসেক্স। আজ সূচকটি ৭৮ হাজার ৬০০ পয়েন্টের আশেপাশে ঘুরছে।
পাশাপাশি ‘নিফটি ৫০’ সূচকটি ২৩ হাজার ৯০০ পয়েন্টে কাছাকাছি অবস্থান করছে। দেশটির পুঁজিবাজারের উর্ধ্বগিতেতে হাসি ফুটেছে বিনিয়োগকারীদের।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, গত আড়াই বছরের মধ্যে এই প্রথম ভারতের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে। আর এই খবরেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা ফিরতে শুরু করেছেন। ফলে সূচক একের পর এক রেকর্ড গড়ছে।
পটনা আইআইটি-র অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক বলেন, আমদানি খরচের তুলনায় রফতানি খাতে আয় হয়েছে বেশি। সরকারের কোষাগারে বাড়তি বিদেশি মুদ্রা ঢুকেছে। সরকার উদ্বৃত্ত আয় কাজে লাগালে তা বেকারত্বকে কমিয়ে জিডিপি বৃদ্ধির হারকে তুলবে। বাড়তে পারে রুপির দাম। তবে এতে বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কাও থাকছে।
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত জানুয়ারি-মার্চে চলতি খাতে দেশের কোষাগারে এসেছে ৫৭০ কোটি ডলার। যা জিডিপির দশমিক ৬ শতাংশ। গত দশ প্রান্তিকের মধ্যে এই প্রথম চলতি খাতে উদ্বৃত্ত।
বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী বলেন, আমেরিকায় মূল্যস্ফীতি কমছে। তাই সুদ কমার পথ তৈরি হচ্ছে বলে আশায় বাজার। দেশেও সুদ কমানোর চাপ বাড়ছে। রিজার্ভ ব্যাংকের ঋণনীতি কমিটিরই একাংশ এ ক্ষেত্রে দেরি করতে রাজী নন। এ ছাড়া আরবিআইয়ের ২ দশমিক ১০ লক্ষ কোটি রুপি লভ্যাংশ থেকে ঘাটতি মিটিয়েও কেন্দ্র মূলধনী খরচ করতে পারবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক কমল পারেখ অবশ্য সূচকের এমন দৌড় বাজারে বিপুল নগদ জোগানের কারণে বলেই মনে করছেন। তিনি বলেছেন, ফান্ড মারফত প্রচুর টাকা নগদায়ন হচ্ছে। ফলে চাহিদা বাড়ছে শেয়ারের। তাই বাড়ছে দাম।
এছাড়া আরেক বিশেষজ্ঞ বিনয় আগরওয়ালের বলেন, বাজেটের আগে পর্যন্ত পুঁজিবাজারে পতনের আশঙ্কা নেই। বাজেট অনুযায়ী বাজারের পরবর্তী গতি নির্ধারিত হবে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.