পশ্চিম গাজা শহরের শাতি ক্যাম্পে ইসরায়েল বিমান হামলা করেছে। এতে হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার এক বোন সহ আরও ১০ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। হিব্রু গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম দাবি করেছে। খবর আনাদোলুর।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ২৮ জন নিহত এবং আরও ৬৬ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না বলে এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
গত এপ্রিলে হানিয়াহর তিন ছেলেকে হত্যা করে ইসরাইল। হামাসের ভাষ্যমতে, তার চার নাতি-নাতনিও (তিন মেয়ে ও এক ছেলে) নিহত হয়। ওই সময় হামাসের এক নেতা আলজাজিরাকে বলেন, ‘তাদেরকে শাহাদাতের সম্মান দেওয়ার জন্য আমি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই।’
এ বছরের শুরুর দিকে ইসরাইলি পুলিশ হানিয়ার এক বোনকে গ্রেফতার করে, যিনি তেল শেভায় বসবাসরত ইসরাইলি নাগরিক। হামাস নেতার তিন বোন দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটিতে বাস করেন এবং আরব ইসরাইলিদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
ওই বছরের শেষের দিকে হানিয়া ইসরাইলকে অনুরোধ করেন, তার বোনদের গাজায় তার ছেলের বিয়েতে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু ইসরাইল সেটা প্রত্যাখান করে। আজকের হামলায় হানিয়ার কোনো বোন নিহত হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
গাজা শহরের আল-দারাজ এলাকার আবদেল-ফানাহ হামমুদ স্কুলে চালানো এই হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এছাড়া মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরও অন্তত পাঁচজন ফিলিন্তিনি নিহত হয়েছেন। আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলার ফলে অজ্ঞাত সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে তাৎক্ষণিকভাবে জানা গিয়েছিল।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা পরে জানায়, ওই হামলায় তিন শিশুসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এদিকে গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৬২৬ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের আরও জানায়, হামলায় আরও ৮৬ হাজার ৯৮ জন আহত হয়েছেন।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.