আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে থামাল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সেমি ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন নির্ভর করছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের ওপর। সেই সঙ্গে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ারও সেমি ফাইনালে যাওয়ার সমীকরণ নির্ভর করছে। এমন ম্যাচেই আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ।

এই ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৫ রান এলেও পরের ওভার গুলোতে রানের চাকা সচল রাখেন তারা। দুই প্রান্ত দিয়ে দুই পেসার তানজিম সাকিব ও তাসকিন আহমেদকে বল করানোর পর পঞ্চম ওভারে শান্ত বল তুলে নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসানের হাতে। পেতে পারতেন উইকেটও।

সাকিবের করা শর্ট লেংথের বলে টেনে মেরেছিলেন ইব্রাহিম। চেয়েছিলেন এক্সট্রা কাভার দিয়ে খেলতে। তবে সেই বল লাফ দিয়ে নাগালে পেয়ে যান তাওহীদ হৃদয়। তবে সেই ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি। বাউন্ডারি বাঁচলেও নিশ্চিত উইকেটের সুযোগ হারিয়েছে টাইগাররা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ বিনা উইকেতে ২৮ রান।

প্রথম উইকেট পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১১তম ওভার পর্যন্ত। রিশাদ হোসেনের বলে তানজিম হাসান সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। রিশাদের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্লগ করতে চেয়েছিলেন ইব্রাহীম। তবে ব্যাটে বলে করতে পারেননি। লং অফে দৌড়ে গিয়ে দারুণ ক্যাচ মুঠোয় জমিয়েছেন তানজিম। ফলে ৫৯ রানে থেমেছে আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি। ১২তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভারে এসে মেইডেন নেন তাসকিন। তার ৬ বলে কোনো রানই নিতে পারেননি গুরবাজ। রিশাদ ইনিংসের ১৪তম ওভারে খরচ করন ১৩ রান। প্রথম বলেই অবশ্য ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তবে ডিপ কাভার থেকে ছুটে এসেও ক্যাচের নাগাল পাননি তানজিদ হাসান তামিম।

পরের ওভারে প্রথম বলেই সাকিবের বলে তাকেই ক্যাচের মতো উঠিয়েছিলেন ওমরজাই। তবে বল লিডিং এজ হয়ে সাকিবের হাত ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। ফলে জীবন পেয়ে যান এই আফগান ব্যাটার। ১৬তম ওভারে এসে তাকে আউট করেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি এই পেসারের শর্ট লেংথের বলে আউট সাইড এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ওমরজাই।

যদিও ক্যাচের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন আম্পায়ার নিতিন মেনন। দ্রুতই রিভিউ নিয়ে এই আফগান ব্যাটারকে আউট করে বাংলাদেশ। এরপর গুরবাজকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনারের বলে সৌম্য সরকারকে সুইপার কাভারে ক্যাচ দিয়েছেন ৫৫ বলে ৪৫ রান করা এই ব্যাটার। ২ বল পর রিশাদ আউট করেছেন গুলবাদিন নাইবকে। ফুলার লেংথ বলে ডিপ কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সৌম্যর হাতে ধরা পড়েছেন ৪ রান করা নাইব। তাসকিন নিজের শেষ ওভারে এসে আউট করেছেন মোহাম্মদ নবিকে আউট করেছেন। তাসকিনের ওপর চড়াও হতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে শান্তর হাতে ধরা পড়েছেন এই আফগান ব্যাটার।

১৯তম ওভারে এসে মাত্র ১ রান খরচ করেন মুস্তাফিজ। ফলে রান বাড়ানোর সুযোগ পায়নি আফগানিস্তান। শেষ ওভারে তানজিমকে দুই ছক্কায় ১৬ রান নিয়ে আফগানিস্তানকে লড়াইয়ের সংগ্রহ এনে দেন রশিদ খান। এই ব্যাটার ১০ বলে ১৯ রান নিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.