দেশে মোট নিবন্ধিত মোবাইল সিমের প্রায় অর্ধেক বা ৪২ শতাংশ নিষ্ক্রিয়। আর রাষ্ট্রায়ত্ত একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটকের নিবন্ধিত সিমের ৫৫ শতাংশই নিষ্ক্রিয়।
বাংলাদেশে নিবন্ধিত মোবাইল সিমের সংখ্যা ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭০টি। এর মধ্যে সক্রিয় রয়েছে ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার সিম। নিষ্ক্রিয় রয়েছে ১৩ কোটি ৯০ লাখ ২৬ হাজার ৯৭০ টি।
সোমবার (২৪ জুন) সংসদের বৈঠকে এসব তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গ্রামীণ ফোনের মোট নিবন্ধিত সিম ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯২৫টি। এর মধ্যে সক্রিয় ৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার। বাংলালিংকের মোট নিবন্ধিত সিম ৯ কোটি ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬২টি। এর মধ্যে সক্রিয় ৪ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার। রবি আজিয়াটার মোট সিম ১০ কোটি ৭৯ লাখ ৬১ হাজার ৮০০টি। সক্রিয় ৫ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার। টেলিটকের নিবন্ধিত সিম এক কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ২৮৩টি। সক্রিয় রয়েছে মাত্র ৬৫ লাখ ৫০ হাজার।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রচলিত কলরেটটি ২০১৮ সালে মার্কেট পর্যালোচনা করে আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মার্কেট সংশ্লিষ্ট পর্যালোচনা চলমান রয়েছে। আপাতত কলরেট পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে কোনো পূর্ব পরিকল্পনা নেই।
বাংলাদেশে বর্তমানে লাইসেন্সধারী ইন্টারনেট সরবরাহকারীর সংখ্যা দুই হাজার ৬৫০ টি বলেও তিনি জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে বিটিসিএলের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯২২ জন। ২০২৪ সালের ১২ জুন সে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫০ জনে। অর্থাৎ বিগত ৫ বছরে বিটিসিএলের গ্রাহক সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭২ জন।
তিনি আরও বলেন, মোবাইল অপারেটরসমূহ তাদের ব্যয়, গ্রাহকের চাহিদা, গ্রাহকের সেবা, ব্যবহার ধরন প্রভৃতি বিবেচনা করে বিভিন্ন মেয়াদের বিভিন্ন ভলিউমের প্যাকেজ ডিজাইন করে। মোবাইল ইন্টারনেট ডাটা প্যাকেজের ক্ষেত্রে বিটিআরসি থেকে ৩ ধরনের (৭ দিন, ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড) মেয়াদ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনা করে বিটিআরসি থেকে ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল সকল অপারেটরের নির্দিষ্ট কিছু আনলিমিটেড (মেয়াদবিহীন) প্যাকেজ ডিজাইনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। বর্তমানে সকল অপারেটরের ২৫ জিবি, ৫০ জিবি ও ৭৫ জিবি মেয়াদের ৩টি আনলিমিটেড (মেয়াদবিহীন) প্যাকেজ বাজারে চলমান রয়েছে।
অর্থসূচক/
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.