ভারতের নবনির্বাচিত এনডিএ সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আজ শুরু হয়েছে ১৮তম সংসদ অধিবেশন। এদিন সকাল ১০টায় প্রোটেম স্পিকার হিসেবে বিজেপির ভতৃহরি মহতাবকে শপথ পড়ালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রোটেম স্পিকারই আপাতত লোকসভার কার্যক্রম চালাবেন।
নতুন সংসদ ভবনে আজ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদিও। তৃতীয়বার জোটের ওপর ভর করে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে এবং ফের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন মোদি। অধিবেশনের শুরুতেই সংসদ ভবনের বাইরে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী মোদি ১৮ তম সংসদের গুরুত্ব সম্পর্কে বিরোধীদের বার্তা দিয়েছেন।
মোদি বলেছেন,আমরা চাই, বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে। গণতন্ত্রকে মজবুত করার জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা খুব প্রয়োজন। সংসদে স্লোগান নয়, মতামত চাই। বিকশিত ভারতের সংকল্প পূরণের জন্য আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে। তৃতীয়বার দেশ চালাতে গিয়ে আমরা তিনগুণ বেশি পরিশ্রম করব।
এদিকে দিল্লিতে ১৮ তম সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদের বাইরে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট। সরকারকে চাপে ফেলতে সংসদের বাইরে সংবিধানের কপি হাতে বিক্ষোভ করেছে তারা। সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে থেকে শুরু করে তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, নবনির্বাচিত বাপি হালদারসহ অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। তাঁদের দাবি, সংবিধানকে বাঁচানোর লড়াই করছি আমরা। নতুন সরকার একাধিক বিষয়ে এরইমধ্যে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। সেসবের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ।
উল্লেখ্য, দু’হাজার চব্বিশের লোকসভা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এমনিতেই বিরোধীদের চাপের মুখে বিজেপি। তার মধ্যে সর্বভারতীয় একাধিক পরীক্ষায় কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন ইস্যুকে হাতিয়ার করে আন্দোলনে নেমেছে বিরোধী দলগুলো।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, মোদি-শাহরা দেশের সংবিধানের উপর আঘাত হানতে চাইছে কিন্তু কোনও ক্ষমতা, কোনও শক্তিই সংবিধানকে ছুঁতে পারবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
আর তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গকে বাদ দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গাচুক্তির নবায়ন করছে। এটি গণতন্ত্রের পরিপন্থি। আর তাই ১৮ তম সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন থেকে আমরা গণতন্ত্র বাঁচানোর লক্ষ্যে আন্দোলনে নেমেছি। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.