আবারও খুলে দেওয়া হলো থানচি

বান্দরবানের থানচিতে দীর্ঘ আড়াই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোনালী-কৃষি ব্যাংক ডাকাতিসহ পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র তাণ্ডবের ঘটনায় এমন সিগ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।

রোববার (২৩ জুন) থেকে থানচি উপজেলার পর্যটন স্পটগুলো ভ্রমণকারীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তার কারণে নাফাখুম, অমিয়খুম, আন্ধারমানিক, বড়মদক, ছোটমদকের মতো দুর্গম এলাকাগুলোতে ভ্রমণ করা যাবে না। তবে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবত রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন জানান, রোববার থেকেই স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদিত পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকরা ঘুরে বেড়াতে পারবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, হোটেল মালিক সমিতি এবং পর্যটক গাইড সমিতি প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে শনিবার সকালে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইউএনও আরও জানান, পর্যটকরা তিন্দুর বড়পাথর, রেমাক্রী জলপ্রপাত, তমাতুঙ্গী ও ডিম পাহাড় পর্যটন স্পটগুলো ভ্রমণ করতে পারবেন। নিরাপত্তার কারণে এগুলোর বাহিরে অন্য স্পটগুলোতে যাওয়া যাবে না। গাইড সমিতির প্রতিনিধিদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পর্যটকরা কোথায় যেতে পারবে, আর কোথায় যেতে পারবে না।

এদিকে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র তাণ্ডব এবং কেএনএফ বিরোধী যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে বান্দরবানে রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি ও আলীকদম চারটি উপজেলা। পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় সব উপজেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারও করে নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে কেএনএফের ব্যাংক ডাকাতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপরে হামলার ঘটনায় ফের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.