গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানির তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে এনভিডিয়া। মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় যে উন্নত মানের প্রসেসের প্রয়োজন হয়, তা তৈরির লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় মাইক্রোসফটকে হটিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানির তকমা পেয়েছে এনভিডিয়া।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, গতকাল এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৩৫ দশমিক ৫৮ ডলারে উঠে যায়; বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার কোটি ডলার। এর চেয়ে বেশি বাজার মূলধন কোনো কোম্পানির নেই। কয়েক দিন আগে অ্যাপলকে হটিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক বাজার মূলধনসম্পন্ন কোম্পানির তকমা পায় এনভিডিয়া; কয়েক দিনের মধ্যেই তারা শীর্ষ কোম্পানি হয়ে উঠল।
গতকাল মাইক্রোসফটের শেয়ারমূল্য শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ হ্রাস পায়; কোম্পানিটির বাজার মূলধন কমে ৩ দশমিক ৩১৭ টিলিয়ন বা ৩ লাখ ৩১ কোটি ডলারে নেমে আসে। একই দিনে অ্যাপলের স্টকমূল্য ১ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়ে ৩ দশমিক ২৮৬ ট্রিলিয়ন বা ৩ লাখ ২৮ হাজার কোটি ডলারে নেমে আসে।
এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম এক বছর ধরেই বাড়ছে। কোম্পানিটির শেয়ারমূল্যের এই বৃদ্ধি দেখে বোঝা যাচ্ছে, ওয়ালস্ট্রিটে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কী ধরনের উন্মাদনা তৈরি হয়েছে।
এনভিডিয়ার শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে এসঅ্যান্ডপি ও নাসডাক সূচক রেকর্ড উচ্চতায় উঠে গেছে। তা সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। এআই নিয়ে যে অসংযত উচ্চাশা তৈরি হয়েছে, সেই উচ্চাশা যেকোনো সময় হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা মনে করছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে—এমন ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র তেমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম যে বেড়েছে কেবল তা-ই নয়, একই সঙ্গে তাদের শেয়ার এখন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হচ্ছে। প্রতিদিন এই কোম্পানির গড়ে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের বেশি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে, যেখানে অ্যাপল, মাইক্রোসফট ও টেসলার শেয়ারের লেনদেন হচ্ছে গড়ে এক হাজার কোটি ডলারের। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকে এখন যত শেয়ার লেনদেন হচ্ছে, তার ১৬ শতাংশই এখন এনভিডিয়ার।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.