বাজেটের অর্থায়ন দায়-দেনার উপর নির্ভরশীল: ফাহমিদা খাতুন

আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের অর্থায়ন দায়-দেনার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এতে ২০২৫ সালে রিজার্ভ বৃদ্ধি করে ৩২ বিলিয়ন ডলার করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে এটি কিভাবে করা হবে সেবিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি বলে জানিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ইকোনমিক রিপোর্টাস ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট পরবর্তী’ এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আমাদের বাজেট প্রত্যক্ষ করের চেয়ে পরোক্ষ করের উপর বেশি নির্ভরশীল। এনবিআরের রাজস্ব আহরণের আকার প্রতিনিয়ত বাড়ানো হচ্ছে। তবে কোনোভাবেই করজাল বিস্তৃত করা সম্ভব হচ্ছে না। একইসঙ্গে কর ফাঁকিও কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে, অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে দুই লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছর চার হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বৈদেশি ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যার ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি। ব্যাংক-বহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.