শুরুটা হয়েছিল রিয়াসিতে তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসে সন্ত্রাসী হামলা দিয়ে। তারপর কাথুয়া ও ডোডায় সন্ত্রাসী হামলা হলো। রিয়াসির ঘটনায় সন্ত্রাসবাদীরা বাসে গুলি চালায়। বাস খাদে পড়ে যায়। নয়জন তীর্থযাত্রী মারা যান কাথুয়ায় একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও দুইজন সন্ত্রাসবাদী মারা গেছে। ডোডায় পাঁচজন সেনা ও একজন পুলিশ অফিসার আহত হয়েছেন।
কাথুয়ায় মঙ্গলবার রাতে সন্ত্রাসবাদীরা একটি গ্রামে গুলি চালায়। তারপর শুরু হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের গুলির লড়াই।
পুলিশ জানিয়েছে, একজন সন্ত্রাসবাদী রাতেই মারা যায়। দ্বিতীয় জঙ্গির সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই চলতে থাকে। সেই জঙ্গি বুধবার সকালে মারা যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। সন্ত্রাসবাদীরা ওই গ্রামে কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে পানি চায়। সেটা দেখে কিছু গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। তারা পুলিশকে খবর দেয়। তখনই সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়।
পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি আনন্দ জৈন বলেন, তিনজন গ্রামবাসী মারা গেছেন বলে রটেছিল। তবে সেটা নিছকই রটনা। একজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।
ডোডায় ছাতারগালা এলাকায় সেনা ছাউনিতে পুলিশ ও রাাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি দলের উপর সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালায়। তারপরই সন্ত্রাসবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলিবিনিময় চলতে থাকে। সন্ত্রাসবাদীরা পাহাড়ের উপরের দিকে থাকায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। গুলিবিনিময় এখনো চলছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন মোটামুটি নির্বিঘ্নে হয়েছে। ফলাফল বেরনোর পর থেকে জঙ্গিদের পরপর তিনটি জায়গায় হামলার ঘটনা প্রশাসনকে উদ্বেগে রেখেছে। তিনটি ঘটনাই জম্মু এলাকাতে ঘটেছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, এএনআই
অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.