আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান

টানা দুই ম্যাচ হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার যোগাড় হয়েছে পাকিস্তানের। প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হেরেছে বাবর আজমের দল। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা হেরেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে। অবশ্য কানাডার বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় দিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়ে সুপার এইটে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পাকিস্তান।

আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করেছিল কানাডা। জবাবে খেলতে নেমে ১৫ বল হাতে রেখেই জয় পেয়েছে পাকিস্তান। মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ২০ রানে সাইম আইয়ুবের উইকেট হারায় পাকিস্তান। এই ওপেনার ৬ রান করে আউট হন। এরপর বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে ৬২ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানের হাল ধরেন। বাবর ৩৩ বলে ৩৩ রান করে আউট হয়ে গেছেন। ফখর জামান ফিরেছেন ৬ বলে ৪ রান করে। এরপর উসমান খানকে নিয়ে পাকিস্তানকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রিজওয়ান।

এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ৫৩ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন। উসমান মাঠ ছেড়েছেন ১ বলে ২ রান করে। কানাডার বোলারদের মধ্যে ২টি উইকেট নিয়েছেন ডিলন হেইলিজার। একটি উইকেট গেছে জার্মি গর্ডনের ঝুলিতে।

এর আগে বাঁচা মরার ম্যাচে টস জিতে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আগে ফিল্ডিংয়ে সিদ্ধান্ত নেন। কানাডার দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নভনীত ধালিওয়াল মিলে কানাডাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। যদিও ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই পাকিস্তানকে উইকেট এনে দিয়েছেন মোহাম্মদ আমির।

তিনি ধালিওয়ালকে দারুণ এক গুড লেংথের বলে বোল্ড করে আউট করেছেন। এরপর শুরু হয় কানাডার ব্যাটারদের আসা যাওয়া। এই জায়গায় ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল জনসন তিনি একপ্রান্ত আগলে রেখে ৪৪ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে কানাডাকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন।

শেষ দিকে সাদ বিন জাফর ২১ বলে ১০ ও কালিম সানা ১৪ বলে ১৩ রান করেছেন। দলটির আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। আমির ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট। হারিস রউফ ২ উইকেট নিতে খরচা করেছেন ২৬ রান। একটি করে উইকেট গেছে শাহীন আফ্রিদি ও নাসিম শাহর ঝুলিতে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.