আপনি ব্যাংক থেকে ঋণ নেবেন, আর ফেরত দেবেন না। দেশে এখন এ মডেল চলছে। খেলাপি ঋণের এ মডেলই এখন দেশের বিজনেস মডেল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (১০ জুন) সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত ‘অর্থনীতির চালচিত্র ও প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৪-২৫’ শীর্ষক আলোচনায় সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাজেটটা দেওয়া হয়েছে চ্যালেঞ্জিং সময়ে। এতে কোনো নতুনত্ব দেখছি না। আগের বাজেটের অঙ্ক শুধু এদিক-সেদিক করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, সংকোচনমূলক বাজেট, অথচ বাজেটের ঘাটতি দেখে তা সংকোচনমূলক মনে হয় না।’
বাজেট–ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকঋণের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো হয়েছে এবং এতে বেসরকারি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সরকার যদি বেশি ঋণ নেয়, তাহলে বেসরকারি খাত ঋণ পাবে কীভাবে? আর বেসরকারি খাত ঋণ না পেলে কর্মসংস্থান হবে কীভাবে।’ প্রস্তাবিত বাজেটের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তিনি মনে করেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে সুদহার ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না বলে মনে করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি যে পর্যায়ে গেছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ জন্য বাজার তদারকি ও সরবরাহ বাড়াতে হবে।
ব্যাংক খাত নিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংক খাতের মর মর অবস্থা এবং সুশাসনে চরম ঘাটতি চলছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার যে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে, তা উচিত হয়নি বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। বলেন, এ মুহূর্তে এডিপির আকার এক থেকে দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি করার দরকার ছিল না।
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.