সন্ধ্যায় নেহরুকে ছোঁবেন মোদী, মন্ত্রী হচ্ছেন যারা

সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরুকে ছুঁয়ে ফেলবেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। নেহরু পরপর তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। মোদীও তাই হতে চলেছেন। তবে মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি এবার পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এনডিএ-র শরিক দলগুলি মিলিয়ে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পার করে গিয়েছে। তাই এবার শরিদ দলগুলিও মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব পাচ্ছে। মোদী ও বিজেপি মন্ত্রীদের সঙ্গে টিডিপি, জেডিইউ, জেডিএস, এলজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনার মতো শরিক দলের মন্ত্রীরাও এদিন শপথ নিতে পারেন।

শরিক দলগুলির মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারে সবচেয়ে বেশি মন্ত্রণালয় দাবি করেছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। তারপর জেডিইউ। তারা একাধিক পূর্ণমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদ দাবি করেছিলেন। এই দুই দলকে মন্ত্রিসভায় নেয়া হলেও তাদের দাবি মেনে অতজন পূর্ণমন্ত্রী দেয়া হবে বলে বিজেপি নেতারা মনে করছেন না।

চারটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও অর্থ সম্ভবত বিজেপি-র হাতেই থাকছে। সেই সঙ্গে সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও তথ্যপ্রযুক্তি-সহ অন্য কিছু মন্ত্রণালয় বিজেপি নিজের হাতে রাখতে চায়। স্পিকার পদও তারা শরিক দলকে দিতে চায় না।

বিজেপি সূত্র জানিয়েছে, শরিক নেতাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে, তাদের দাবি যুক্তিগ্রাহ্য সীমার মধ্যে রাখতে হবে। খুব বেশি উচ্চাকাঙ্খী দাবি মানা হবে না। তবে জিতে আসা প্রায় সব শরিক দলের থেকেই অন্তত একজনকে মন্ত্রী করতে চায় বিজেপি। শিরোমণি অকালি দলের সঙ্গেও তারা আলোচনা করছে। তাহলে সাবেক মন্ত্রী ও প্রয়াত নেতা ইয়ারান নাইডুর ছেলে ৩৪ বছর বয়সি টিডিপি নেতা রামমোহন নাইডু মন্ত্রিসভার সবচেয়ে কম বয়সি মন্ত্রী হতে পারেন।

গতকাল ১১ ঘণ্টা ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা, বিজেপি-র সংগঠন সচিব বি এল সন্তোষের সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই কে কোন মন্ত্রণালয় পাবেন সেটা ঠিক হয়।

সূত্রে জানা গেছে, আজ মন্ত্রী হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন রাজনাথ সিং, নীতিন গড়করি, শিবরাজ সিং চৌহান, চিরাগ পাসোয়ান, কুমারস্বামীরা। বাকিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে আছেন। তিনি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া নেপালের প্রধানমন্ত্রী, শ্রীলঙ্কা, মরিশাস ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, এএনআই, এনডিটিভি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.