বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. আতিউর রহমান বলেছেন, প্রায় দেড় বছর ধরে মুদ্রাস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি। গত মে মাসে খাদ্য মুল্যস্ফীতি দশ শতাংশের বেশি। এই বাস্তবতায় মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে তিন শতাংশের মতো কমিয়ে সাড়ে ছয় শতাংশে নামিয়ে আনা সহজ হবে না।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বাজেট ঘাটতি আরো কমিয়ে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণের পরিমান কমানোর কোনো বিকল্প নেই।
শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর বাংলামোটরে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত বাজেট প্রতিক্রিয়া সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আতিউর রহমান বলেন, মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বরাদ্দে আরো উদার হওয়া যেতো। সামাজিক সুরক্ষায় বাজেটের ১৭.০৬ শতাংশ বরাদ্দ হয়েছে। চলতি বছরে ছিল ১৬.৫৮ শতাংশ। এর পুরোটাই বিপন্ন মানুষের জন্য নয়। কর্মকর্তাদের পেনশন, সঞ্চয় পত্রের সুদ, বিভিন্ন বৃত্তির বরাদ্দও এখানে আছে।
চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রান্তিক নাগরিকদের তিনি আরও বলেন, সুরক্ষার্থে এ অনুপাত বাড়ানো যেত (বিশেষত ক্যাশ ট্রান্সফার কর্মসূচির বরাদ্দ)। অন্যদিকে, জনগণকেই মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৯ শতাংশ বহন করতে হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বাজেট বাস্তবায়নের দক্ষতার অভাবের বিবেচনায় হয়তো বরাদ্দের অনুপাত বাড়ানো হয়নি।
মোট রাজস্ব আয় ৫ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে মনে করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সব মিলিয়ে প্রাথমিক বিচারে এবারের বাজেটটিকে অনেকটাই বাস্তবমুখী ও সময়োচিত হিসেবেই দেখতে হবে। তবে যেহেতু অনেকখানি কাটছাঁট করতে হয়েছে, তাই এই সংকুচিত বাজেট বাস্তবায়নে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি দক্ষতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিতে হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাকে উচ্চাভিলাষী মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর।
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.