‘ঘাটতি পূরণে আবারও ঋণ নিয়ে পুরোনো ঋণ ফেরত দেওয়া হচ্ছে’

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের নেতা জি এম কাদের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় মন্তব্য করে বলেন, এবারের প্রস্তাবিত বাজেট মোটেই জনবান্ধব হয়নি। জনগণের ওপর চাপ আসছে। বেশির ভাগ আয় করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে পরোক্ষ করের মাধ্যমে। ফলে সাধারণ জনগণের ওপর কারের বোঝা বাড়বে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের মধ্যে দুই লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঘাটতি হচ্ছে। যা আয় হচ্ছে দেশের রাজস্ব বা অন্যান্য খাত থেকে তার চেয়ে ব্যয় হচ্ছে বেশি। এটাকে মেটানো হচ্ছে সম্পূর্ণ ঋণ দিয়ে। দেশি ঋণ এবং বিদেশি ঋণ।’

তিনি বলেন, ‘আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, আমরা অনেক সময় গর্ব করে বলি যে আমরা কোনো সময় ডিফল্ট হই না। সব সময় আমরা ঋণের অর্থ পরিশোধ করছি। আমি গতবারও দেখেছি, এবারও দেখলাম, ঋণের অর্থ যেটা ফেরত দেওয়া হচ্ছে সেটা ঋণ নিয়েই দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ঘাটতি পূরণ করতে গিয়ে বৈদেশিক ঋণ হচ্ছে এক লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা, সুদ দেওয়ার পরে আমরা ব্যবহার করতে পারছি ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। বাকি টাকা নেওয়ার সময়ই তাদের দিয়ে আসতে হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ ঋণ নেওয়া হচ্ছে এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। যেটা পরিচালন ব্যয় দেখানো হয়েছে, তার মধ্যে একটি বড় অংশ ঋণ। এখনো আমরা ঋণ নিয়ে পরিচালন ব্যয় চালাব’।

জাপা চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের নেতা বলেন, ‘গতবার যে ঋণ নিয়েছি তার জন্য আমাদের মোট পরিচালন ব্যয় পাঁচ লাখ কোটি টাকার মতো, সেখানে থেকে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা কেবল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ আর বৈদেশিক ঋণের সুদ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার হাজার কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।’

তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আয় বাড়াতে করের হার বাড়ানো হয়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতি কমার কোনো সম্ভাবনা এই বাজেটে আমি দেখছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ জনগণের কোনো মুক্তির উপায় নেই, চাকরির সুবিধা নেই। যেহেতু বিদেশি বিনিয়োগ আসছে না এবং সেটা আনারও কোনো বন্দোবস্ত নেই’।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.