চলতি অর্থবছরে প্রবাসী আয় বেড়েছে দ্বিগুণ: অর্থমন্ত্রী

প্রবাসী কর্মীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কর্মীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিগুণ হয়ে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

বিদেশ ফেরত কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অনুকূলে সরকার ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রদান করেছে বলে জানিয়েছেন মাহমুদ আলী।

দেশে নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানান, কর্মক্ষেত্রে আহত হওয়ার ঝুঁকি থেকে সুরক্ষার জন্য নারীদের জন্য ‘এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি ইনস্যুরেন্স’ স্কিম পাইলট ভিত্তিতে চালু করা হয়েছে।

মাহমুদ আলী বলেন, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতে ১ হাজার ৫৫০টি কারখানার কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের বাজেটের আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ১৪.২ শতাংশ। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ৪.৬ শতাংশ। এ হার গত বাজেটে ছিল ৫.২ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে নির্বাহ করার জন্য প্রস্তাব করা হলো।

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

এ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। সরকার বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেবে ৯৫ লাখ ১০০ কোটি টাকা। বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.