দাম বাড়বে ২৫০ সিসির বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলের

নতুন বাজেটে দেশে ২৫০ সিসির বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে। যার ফলে, বৃদ্ধি পাবে এ জাতীয় মোটরসাইকেলের দাম।

বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভার অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

নানা সংকটের মধ্যেও নতুন অর্থমন্ত্রী স্বপ্ন দেখছেন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে। এজন্য এবারের বাজেট প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’।

বাজেট উপস্থাপনায় অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব করেন যে, ২৫০ সিসির ঊর্ধ্বসীমা ইঞ্জিন ক্ষমতা সম্পন্ন মোটরসাইকেলের জন্য উক্ত যন্ত্রাংশগুলো আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ ধার্য করার সুপারিশ করছি। একইসঙ্গে বাংলাদেশ কাস্টমস ট্যারিফে সংশ্লিষ্ট পণ্যের বিপরীতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ ধার্য করার সুপারিশ করছি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি দেশের ১৮তম অর্থমন্ত্রী। আবুল হাসান মাহমুদ আলী অর্থমন্ত্রী হিসেবে এবারই প্রথম বাজেট পেশ করলেন। এটি দেশের ৫৩তম বাজেট।

আসছে অর্থবছরের বাজেটের আকার বাড়লেও ঘাটতির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হচ্ছে ৫ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছর ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে।

ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বৈদেশি ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

অভ্যন্তরীণ ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি, যার ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

 

 

 

 

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.