তিন বছরের জন্য কর অব্যহতি পাবে ১৯ খাত

আগামী তিন বছরে জন্য কর অব্যহতি পাবে আইটির ১৯টি খাত। তবে এসব প্রতিষ্ঠান হতে হবে কোন নিবাসী ব্যক্তি বা অনিবাসী বাংলাদেশিদের। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের জাতীয় বাজেট পেশ করছেন।

জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বাজেটে এ প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়, এসব ব্যক্তিদের কোনো ব্যবসা হতে আয় এবং সকল ব্যবসায়ীক কার্যক্রম ক্যাসলেশ হবার শর্তে তিন বছর কর অব্যহতি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আগামী তিন বছর কর অব্যহতি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো- এআই বেজড সলুশন ডেভেলপমেন্ট, ব্লকচেন বেজড সলুশন ডেভেলপমেন্ট, রোবোটিক্স প্রসেস আউটসোর্সিং, সফটওয়্যার অ্যাজ আ সার্ভিস,সাইবার সিকিউরিটি সার্ভিস, ডিজিটাল ডেটা এনালাইটিক্স ও ডেটা সাইয়েন্স, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও কাস্টমাইজেশন, সফটওয়্যার টেস্ট ল্যাব সার্ভিস এবং ওয়েব লিস্টিং।

এছাড়া ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও সার্ভিস, আইটি সহায়তা ও সফটওয়্যার মেইনটেন্যান্স সার্ভিস, জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস, ডিজিটাল এনিমেশন ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল গ্রাফিক্স ডিজাইন , ডিজিটাল ডেটা এন্ট্রি ও প্রসেসিং, ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ও ই-পাব্লিকেশন, আইটি ফ্রিল্যান্সিং, কল সেন্টার সার্ভিস, ডকুমেন্ট কনভারশন. ইমেজিং ও ডিজিটাল আর্কাইভিং।

২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের বাজেটের আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ১৪.২ শতাংশ। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ৪.৬ শতাংশ। এ হার গত বাজেটে ছিল ৫.২ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে নির্বাহ করার জন্য প্রস্তাব করা হলো।

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

এ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। সরকার বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেবে ৯৫ লাখ ১০০ কোটি টাকা। বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.