প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ছে

‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শিরোনামে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট উপস্থাপনকালে এ প্রস্তাব করেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। দুই অর্থবছরের তুলনায় চার হাজার ৯৭ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন সফল করতে হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষায় উপযুক্তভাবে গড়ে তুলতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞানভিত্তিক, প্রযুক্তিনির্ভর, দক্ষতাবর্ধক ও সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়ক শিক্ষার পরিবেশ তৈরি এবং কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণকে আমাদের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্যতম বিশেষ অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে এবং সহকারী শিক্ষকের ২৬ হাজার ৩৬৬টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। শিক্ষার প্রধান উপকরণ বই যাতে শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতেই পায় সে লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর প্রাথমিক স্তরের শিশুদের ১ জানুয়ারি ‘বই উৎসব’ এর মাধ্যমে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, স্কুলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য হুইল চেয়ার, ক্রাচ, শ্রবণযন্ত্র ইত্যাদি ক্রয় ও বিতরণ করা হচ্ছে এবং তাদের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের সুবিধার্থে প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে র‍্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে শিশুদের ঝরে পড়া রোধ করতে শতভাগ শিক্ষার্থীকে ইএফটি’র মাধ্যমে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। সরকারের সুচিন্তিত নীতির ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় নিট ভর্তির হার ২০০৯ সালের ৯০.৮ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালে ৯৭.৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

শিশুদের প্রযুক্তি ব্যবহারের সাথে অভ্যস্ত করে তুলতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১ লাখের বেশি ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ইন্টারনেটসহ সাউন্ড-সিস্টেম সরবরাহ করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি উপজেলায় একটি করে বিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ক্লাসরুম ও ভাষা ল্যাব স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪তম বাজেট। এছাড়া বর্তমান সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট, টানা ১৬তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম বাজেট এটি।

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.