গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার ব্যাপারে সম্ভাব্য যে চুক্তিতে হামাসের দাবিগুলো মেনে নেয়া হবে তা ‘গুরুত্বের সঙ্গে এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে’ বিবেচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফিলিস্তিনের এই প্রতিরোধ সংগঠন।
হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ‘গাজায় আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ, উপত্যকা থেকে সকল দখলদার সেনা প্রত্যাহার এবং বন্দি বিনিময়’কে তিনি হামাসের দাবিদাওয়ার সারসংক্ষেপ বলে তুলে ধরেন।
গত বছরের অক্টেবর মাসে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন হামাস স্বেচ্ছায় ১০৫ ইসরাইলি জীবিত পণবন্দিকে মুক্তি দেয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত হামাসের কাছ থেকে কোনো জীবিত পণবন্দিকে মুক্ত করতে পারেনি তেল আবিব।
গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য নভেম্বরের পর থেকে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কোনো প্রচেষ্টা সফল হয়নি। গতমাসে কাতার ও মিশরের তৈরি একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব হামাস মেনে নিলেও ইসরাইল তা প্রত্যাখ্যান করে।
এরমধ্যে গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তিন ধাপের একটি রোডম্যাপ তুলে ধরেন এবং তা মেনে নেয়ার জন্য হামাসের প্রতি আহ্বান জানান। ওই রোডম্যাপ ইসরাইলের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন বাইডেন। কিন্তু বাস্তবে ইসরাইল বাইডেনের এ প্রস্তাবও মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবটিতে হামাসের প্রায় সব দাবি মেনে নেয়া হয় এবং সংগঠনটি ওই প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করার আশ্বাস দেয়। হামাস জানায়, ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া জানার পর তারা এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক জবাব দেবে।
এরকম একটি প্রেক্ষাপটে ইসমাইল হানিয়ার বিবৃতি প্রকাশিত হলো। এতে তিনি আরো বলেন, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাস যে অবস্থান নিয়েছে তাতে ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের সাহসী প্রতিরোধ যুদ্ধের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.