রপ্তানি আয়ে হঠাৎ ধস

অর্থবছরের শেষ দিকে এসে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে দেশের রপ্তানি খাত। মে তথা অর্থবছরের ১১তম মাসে রপ্তানি আয় ব্যাপকভাবে কমে গেছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত মে মাসে আয় কমেছে ১৬ শতাংশ। অন্যদিকে কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম আয় হয়েছে।

চলতি আর্থবছরের বিভিন্ন একাধিক মাসে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। কিন্তু মে মাসের মত এতটা ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরে আর হয়নি।

তবে ১১ মাসে মোট রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.০১ শতাংশ বেড়েছে।

বুধবার (৫ মে) প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, গত মে মাসে ৪০৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা  গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ শতাংশ কম।

ইপিবির তথ্য অনুসারে, মে মাসের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম।

ইপিবির তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে জাতীয় রপ্তানিতে ৮৪ শতাংশের বেশি অবদান রাখা পোশাক রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় দুই দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে চার হাজার ৩৮৫ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য ও চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি বাড়লেও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, আসবাব, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি কমে গেছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে মোট পণ্য রপ্তানির ৮৫ শতাংশ আয় তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে। এ সময় ৪ হাজার ৩৮৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৮৬ শতাংশ বেড়েছে। তৈরি পোশাকের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পণ্য রপ্তানি আয় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাত থেকে এসেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৯৬ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪.১৭ শতাংশ কম।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.