বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও একটি ম্যাচে হারে বাবর আজমের পাকিস্তান। প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারতে হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কাছে। এমনকি বিশ্বকাপেও প্রায় অঘটন ঘটিয়ে দিয়ে ফেলেছিল পাপুয়া নিউ গিনি। যদিও শঙ্কা উড়িয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর এমন পারফরম্যান্স আশাবাদী করে তুলছে নেপালকে।
এদিকে সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে শেষ টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এমন জয়ের পরও বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশের কাছে সিরিজ খোয়াতে হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। কাগজে-কলমে পিছিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন সাকিব আল হাসানরা। শুধু বাংলাদেশ নয় একই পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও।
এক দশক পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া নেপালের অধিনায়ক রোহিত পাউডেল সমনে করেন ২০ ওভারের ক্রিকেটে প্রায় সবগুলো দলই সমান। এখানে কাউকে শক্তিশালী এবং দুর্বল হিসেবে দেখেন না তিনি। এ প্রসঙ্গে রোহিত বলেন, ‘আপনি যদি গত মাসের দিকে খেয়াল করেন তাহলে আপনি দেখবেন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে হারিয়েছে। আপনি এটাও দেখেছেন নেদারল্যান্ডস শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আপনি এটা বলতে পারবেন না যে একটা দল শক্তিশালী অন্য আরেকটা দল দুর্বল। এই প্রতিযোগিতায় প্রতিটি দলই একই রকম ব্যালেন্সড এবং ভালো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের স্কিল অনুযায়ী সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি তাহলে তাহলে যে কাউকে হারাতে পারব। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে আপনাকে স্কিলের শতভাগ দিয়ে পারফর্ম করতে হবে। আমরা সবাই নিজেদের দারুণভাবে প্রস্তুত করেছি এবং সামনের চ্যালেঞ্জের জন্য মুখিয়ে আছি।’
বিশ্বকাপের এবারের আসরে সবচেয়ে কঠিন ‘ডি’ গ্রুপে রয়েছে নেপাল। যেখানে তাদের লড়াই করতে হবে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, সাউথ আফ্রিকা এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। সুপার এইটে যেতে হলে তিনটি ম্যাচে জিততে হবে তাদের।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.