জম্মু ও কাশ্মীরে সাবেক ২ মুখ্যমন্ত্রীর পরাজয়

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজিপি জোট৷ যদিও ফলাফল ঘোষণা শেষে দেখা যাচ্ছে এবারের নির্বাচনে দেশটির কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তবে মোদির বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ‘এনডিএ’ ২৯২টি আসন পেয়েছে। অপরদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট ‘ইনডিয়া’ পেয়েছে ২৩৪টি আসন। অন্যান্য দলগুলো পেয়েছে বাকি ১৭টি আসন।

মঙ্গলবার (৪ জুন) মধ্যরাতে দেশটির নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, গত দুই বারের মতো এবারও ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সবচেয়ে বেশি ২৪০টি আসন পেয়েছে। তবে তারা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। অপরদিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৯টি আসন পেয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস।

এবার ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে জয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। তবে সামনের সারির মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মুখ থুবড়ে পড়েছেন। তার মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীও অন্যতম।

জানা গেছে, জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ হেরেছেন বারামুল্লাহ আসনে৷ অনন্তনাগ রাজৌরিতে হেরেছেন জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট মেহবুব মুফতি৷ দুইজনই পরাজয় মেনে নিয়েছেন৷ অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজয়ীদের৷

ওমর আব্দুল্লাহ হেরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল রশীদ শেখের কাছে৷ মোদীর কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজনীতিবিদ শেখ আব্দুল রশীদ৷ ‘সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন’ এবং ‘মুদ্রা পাচারের’ দায়ে ২০১৯ সালে তাকে কারাবন্দি করেছিল মোদী সরকার৷

এ ছাড়া সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুব মুফতি হেরেছেন ওমর আব্দুল্লাহর দলের মিয়া আলতাফ আহমাদের কাছে৷

দেশটির নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফল অনুযায়ী ৫৪৩টি আসনের মধ্যে এককভাবে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলকে ২৭২ টি আসনে জয়ী হতে হবে৷

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.