ইরানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. মাহমুদ আহমাদনেজাদ ও বর্তমান সংসদ স্পিকার বাকের কলিবাফসহ ১৪ জন।
গতকাল নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নাম নিবন্ধনের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে নাম লিখিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার বাকের কলিবাফ এবং ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসহাক জাহাঙ্গিরি। এবারের নির্বাচনে যে ১৪ জন প্রার্থী নাম নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শক্তিশালী রাজনীতিবিদ এবং চারজন নারী সংসদ সদস্য রয়েছেন।
গতকাল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নাম নিবন্ধন করার পর স্পিকার মোহাম্মদ বাকের কলিবাফ সাংবাদিকদের জানান, সমাজের অভিজাত শেণির লোকজন তাকে এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা এই নির্বাচনে বিজয় লাভের চাবিকাঠি।
ইসহাক জাহাঙ্গিরি সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যমান ভুল দৃষ্টিভঙ্গি ও পদ্ধতি সংশোধন করে নতুন সক্ষমতা তৈরির পদক্ষেপ নেয়ার আশায় তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য এর আগে যারা নাম লিখিয়েছেন তাদের মধ্যে আরো রয়েছেন সাবেক স্পিকার ড. আলী লারিজানি এবং সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলি। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে যার নাম তিনি হচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। তিনি ২০০৫ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে টানা ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৫ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসেই তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন এবং তিনি ইসরাইলকে বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার প্রকাশ্য হুমকি দেন। এ ছাড়া, তার আমলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বিশেষ গতি লাভ করে এবং তিনি মার্কিন-বিরোধী দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন।
ইসলামী বিপ্লবের নীতি অনুসরণে ইহুদিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে তার এই কঠোর অবস্থান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ পরিচিতি এনে দেয়। এ ছাড়া, তার সহজ- সরল সাদাসিধে জীবনযাপনও সারা বিশ্বের মানুষের দৃষ্টি কাড়ে।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য চারজন নারী প্রার্থী নাম লিখিয়েছেন। তারা হলেন- জোহরে এলাহিয়ান, হাজার চেনারানি, হামিদে জারাবাদি এবং রাফাত বায়াত। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.