হেরে বিশ্বকাপের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষুব্ধ শ্রীলঙ্কা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। অ্যানরিখ নরকিয়ার বোলিং তোপে মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর বল হাতে লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত ২২ বল আগেই হার মানতে হয় তাদের।

এই ম্যাচের পর বিশ্বকাপের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা। কারণ নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে তাদের টিম হোটেলের দূরত্ব প্রায় দেড় ঘণ্টার। সেখান থেকে চেক আউট করে ডালাসের বিমান ধরতে হয়েছে লঙ্কানদের।

৭ জুন বাংলাদেশের বিপক্ষে সেখানেই দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে তারা। সেখান থেকে আরও দুইবার দুই ভেন্যুতে গিয়ে শেষ দুটি ম্যাচ খেলতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে আবাসন ব্যবস্থার সঙ্গে ভ্রমণের ক্লান্তির সঙ্গেও লড়তে হবে লঙ্কানদের। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডই শুধু গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচ খেলবে চার ভেন্যুতে।

এ নিয়ে স্পিনার মাহিশ থিকশানা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচের পর স্পষ্ট অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে এটি অন্যায়। আমাদের প্রতিদিন (ম্যাচের পর) ছুটতে হবে কারণ আমরা চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলব। এটি অন্যায্য। ফ্লোরিডা থেকে, মায়ামি থেকে আসতে বিমানবন্দরে আমাদের প্রায় ৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখানে আসার পর রাত ৮টায় আমাদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্লাইট ভোর ৫টায়। এটি সত্যিই অন্যায্য। তবে মাঠে খেলার সময় এসব কোনো গুরুত্ব রাখে না।’

ব্যস্ত সূচির কারণে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজেদের অনুশীলনও বাতিল করতে হয়েছে তাদের। সকালে ম্যাচ হওয়ায় ভোরে ঘুম থেকে উঠেই মাঠে রওনা দিতে হয়েছে তাদের। নাম না বললেও থিকশানা জানিয়েছেন, ‘আমি দলগুলোর নাম বলতে পারব না যারা একই জায়গায় থাকার সুবিধা পাচ্ছে কিন্তু মাঠ থেকে হোটেলের দূরত্ব মাত্র ১৪ মিনিটের। যেখানে আমাদের ছিল প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের। আমি দলগুলোর নাম বলতে পারব না যারা একই ভেন্যুতে খেলবে। তাই তারা কন্ডিশন সম্পর্কেও জানে। তারা প্রস্তুতি ম্যাচও একই ভেন্যুতে খেলেছে। আর কেউ এটি পাবে না।’

থিকশানার মুখে ফুটে উঠেছে অসহায়ত্বও। তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি ফ্লোরিডায়। সেখানে আমাদের তৃতীয় ম্যাচ। পরবর্তী বছরে হয়তো সবাই এটি নিয়ে চিন্তা করবে। কারণ আমি জানি, এই বছর আর কিছু পরিবর্তন হবে না। আমাদের ম্যানেজমেন্ট ফ্লাইটের বিষয়টি দেখার চেষ্টা করছে। কারণ আমরা এখানে খেলছি এবং সব কিছু গুছিয়ে রওনা দিতে হবে। মাথার মধ্যে সবসময় এটি কাজ করে যে, তাড়াহুড়োয় কিছু ফেলে এলাম না তো!’

প্রথম ম্যাচ নিউ ইয়র্কে খেললেও এখানকার কন্ডিশন নিয়েও ধারণা পাওয়ার সুযোগ পায়নি শ্রীলঙ্কা। ডালাসেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য খুবই কম সময় পাচ্ছে লঙ্কানরা। এরপর তারা খেলবে ফ্লোরিডায়। শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়ক বুঝতে পারছেন না এর প্রভাব তাদের খেলায় পড়ছে কিনা।

পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার ঘাটতির কথা জানিয়ে লঙ্কান অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমরা এটি (পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়েছে কিনা) বলতে পারব না। গত কিছু দিন আমাদের কঠিন সময় ছিল। আমাদের চার ম্যাচ চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে। এখানের (নিউ ইয়র্ক) কন্ডিশন সম্পর্কে আমরা জানতাম না। পরের ম্যাচ ডালাসে। সেখানের কিছুও জানি না। এরপর খেলব ফ্লোরিডায়। সেখানে দুটি (প্রস্তুতি) ম্যাচ খেলেছি। তো এটিই একমাত্র ইতিবাচক দিক।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.