খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরও বেড়েছে

চলতি অর্থবছর মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও কোনোভাবেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। সদ্য শেষ হওয়া মে মাসে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশে। উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি। মে মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাসিক হালনাগাদ ভোক্তা মূল্য সূচকে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এতে বলা হয়েছে, সদ্যবিদায়ী মে মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ হয়েছে, যা আগের মাস এপ্রিলে ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। এপ্রিল মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, যা ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার আবারও বেড়ে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ হয়।

বিবিএস জানায়, মে মাসে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। খাদ্যপণ্য যেন নাগালের বাইরে গেছে।

বিবিএসের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে এক বছরের ব্যবধানে ১০০ টাকার খাদ্যপণ্যে দাম বেড়েছে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা।

বিবিএসের তথ্যে দেখা গেছে, এপ্রিল থেকে বাড়তে বাড়তে মে মাসে খাদ্যপণ্য বৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে।

এছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কিছুটা কমেছে। মে মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ হয়েছে, যা এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.