অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়া থেকে ইইসরাইলি সেনারা সরে যাওয়ার পর ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে আরও ৫০ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দখলদার সেনাদের প্রত্যাহার করার পর জাবালিয়া থেকে উদ্ধার হওয়া ফিলিস্তিনিদের লাশের সংখ্যা ১২০ ছাড়িয়ে গেল।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, রবিবার গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগের অনুসন্ধানী দলগুলো ৫০টি মরদেহ উদ্ধার করে। ইসরাইলি সেনাদের নির্বিচার বোমাবর্ষণ ও গোলা নিক্ষেপে বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নীচে চাপা পড়ে নিহত হন এসব হতভাগ্য ফিলিস্তিনি যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
এর আগে শনিবার জাবালিয়া থেকে ২০ শিশুসহ অন্তত ৭০ জনের নিষ্প্রাণ দেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে আরো মরদেহ পাওয়া যাবে বলে ধারনা করছেন উদ্ধারকারী দলগুলোর সদস্যরা।
গত শুক্রবার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ২০ দিনব্যাপী গণহত্যা ও তাণ্ডবের অবসান ঘোষণা করে ইসরাইলি বাহিনী। ওই ২০ দিনে জাবালিয়ায় অন্তত ২০০টি বিমান হামলা চালায় দখলদার সেনারা। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০ দিনে জাবালিয়ার ৭০ শতাংশ ভবন ধ্বংস করার মাধ্যমে অন্তত এক লাখ ফিলিস্তিনিকে পথে বসিয়ে দেয় ইহুদিবাদীরা।
দখলদার সেনারা চলে যাওয়ার পর পালিয়ে যাওয়া গাজাবাসী তাদের ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন যদিও ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা এত বেশি যে, বেশিরভাগ মানুষই তাদের ঘরবাড়ি চিনতে পারছেন না। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.