টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোন দলগুলো সেমি ফাইনালে খেলতে পারে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের কথাই বলছেন। এবার অনেকে আফগানিস্তানেরও সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার উগান্ডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করবে আফগানিস্তান। এই ম্যাচের আগে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান জানিয়েছেন, ‘বিশেষজ্ঞরা আমাদের সেরা চারে দেখছেন। আমি মনে করি, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। আমি অবশ্য এর দিকে খুব একটা তাকাচ্ছি না। বড় ব্যাপার হচ্ছে আমরা মাঠে গিয়ে কীভাবে খেলছি।’
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে বড় চমক দেখিয়েছিল আফগানিস্তান। তারা ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল। অল্পের জন্য তারা যেতে পারেনি সেমি ফাইনালে। সেই পারফরম্যান্সই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনুপ্রেরণা আফগানদের। রশিদ বলেন, ‘আমরা সর্বশেষ (ওয়ানডে) বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের খুব কাছে চলে গিয়েছিলাম। শুধু একটা ম্যাচ দূরেই ছিলাম। আমি মনে করি, সেখান থেকেই আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে কিছুই অসম্ভব নয়। তাই বলব, আমরা এই বিশ্বকাপে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। কিন্তু আমি আগেও যেমনটা বলেছি, এখনো বলব-আমরা একবারে একটা ম্যাচ নিয়েই এগিয়ে যাব।’
আফগানিস্তান দলে আছেন একঝাঁক দারুণ স্পিনার। রশিদের সঙ্গে মুজিব উর রহমান ও নূর আহমেদও দারুণ ফর্মে আছেন। তবে নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে রশিদ বলেন, ‘আমাদের এমন একটি ব্যাটিং লাইনআপ আছে, যেকোনো উইকেটে ২০০ রানের লক্ষ্য থাকলেও স্বাভাবিকভাবে নেবে। আমাদের এখন এ ধরনের রানতাড়া করার সামর্থ্য, দক্ষতা এবং প্রতিভা রয়েছে। আসলে টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট নির্ভর করছে কোন মানসিকতায় সেটা গ্রহণ করছেন। যদি বিশ্বাস থাকে পারবেন, তবে অনেককিছুই সম্ভব।’
গত কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করছে আফগানরা। প্রত্যাশার কথা জানিয়ে রশিদ বলেন, ‘সাফল্যের অন্য আরেকটি জিনিস হল ক্রিকেট বোঝা। মনে করি, গত কয়েক বছরে আমরা যথেষ্ট ক্রিকেট খেলেছি। দক্ষতা ও খেলার ধরন উন্নত হয়েছে। আমরা এখন প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছি।’
অর্থসূচক/এএইচআর
 
			
 
						

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.