সাধারণত ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। এর ওপর গতমাসে এক ধাপে ডলারের দর ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে দেশের বিদেশি জনশক্তির তুলনায় রেমিট্যান্স প্রত্যাশিত হারে বাড়ছে না। ঈদের আগের মাসে অর্থাৎ সদ্য সমাপ্ত মে মাসে প্রবাসীরা ২২৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর আগের মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স সামান্য বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ২২৫ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১১৭ টাকা ধরে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ২৬ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। আগের মাস এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিলো ২০৪ কোটি ডলার। সে হিসেবে মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১৬৯ কোটি ডলার। সে হিসেবে বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি জুন মাসে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। তাই প্রবাসীরা পরিবারের কোরবানির প্রস্তুতি হিসেবে এই মাসে রেমিট্যান্স বেশি পাঠিয়েছেন। একই সাথে ডলারের দর বেড়ে যাওয়ায় প্রবাসী আয় বাড়তে পারে। আর ঈদের মাস হিসেবে জুনেও রেমিট্যান্স বাড়বে বলেও মনে করছেন তারা।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মী গেছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৭ জন। আর ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে রেকর্ড ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জন কর্মী বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য গেছেন। কিন্তু সেই অনুপাতে দেশের প্রবাসী আয় বাড়েনি। বর্তমানে সবমিলিয়ে দেশের বিদেশে অবস্থানকারী প্রবাসীর সংখ্যা ১ কোটি ৬৩ লাখ ২ হাজার ৩৬০ জন।
এর আগে সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।
অর্থসূচক/এমএইচ



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.