শরিফুলের হাতে ৬ সেলাই, প্রথম ম্যাচ খেলা নিয়া শঙ্কা

ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে এই পেসারের করা লেংথ ডেলিভারিতে স্ট্রেইট ড্রাইভ খেলার চেষ্টা করেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ফলো থ্রুতে বল আটকানোর চেষ্টায় বাঁ হাতের তালুতে চোট পান শরিফুল। হাতে বল লাগার পরই মাটিতে বসে যান বাঁহাতি এই পেসার। প্রস্তুতি ম্যাচ হওয়ায় তৎক্ষণাত ফিজিও এসে মাঠের বাইরে নিয়ে যান তাকে। চোট নিয়ে শরিফুল উঠে যাওয়ায় ২০তম ওভারের শেষ বলটি করেছেন তানজিম হাসান সাকিব।

১৮৩ রান তাড়ায় তানজিদ হাসান তামিম এবং সৌম্য সরকার যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন শরিফুলকে নিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় হাসপাতালে। ম্যাচ শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শরিফুলের চোট নিয়ে শান্ত বলেন, ‘সে (শরিফুল) এখনও পর্যবেক্ষণের মাঝে আছে। সে এখন হাসপাতালে রয়েছে। খুব সম্ভবত সে ঠিক হয়ে যাবে।’ যদিও সহসাই মাঠে ফেরা হচ্ছে না বাংলাদেশের এই পেসারের। টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য জানিয়েছেন, আপাতত পর্যবেক্ষণে থাকলেও তালুতে বল লাগায় বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনির মাঝের অংশ ফেটে গেছে।

যেখানে দেবাশীষ বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশ প্রস্তুতি ম্যাচ চলাকালীন সময়ে শরিফুলের নিজের শেষ ওভারের বোলিংয়ের সময় একটা ফিরতি বল আটকাতে গিয়ে ওর বাম হাতের তর্জনী এবং মধ্যমার মাঝামাঝি যে স্পেস ওখানে একটা স্প্লিট ইনজুরি হয়, মাঠে পর্যবেক্ষণের পর তাকে নিকটস্থ নেসাও ইউনিভার্সিটির হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওখানে হ্যান্ড সার্জনের তত্ত্বাবধানে ওর ওই ক্ষতর মাইক্রো সেশনিং করা হয়, ছয়টা সেলাই পড়েছে। আমরা দুদিন পর আবার হ্যান্ড সার্জনের কাছে যাব ওর ড্রেসিং করানোর জন্য। তখন আমরা বুঝতে পারব ওর রিটার্ন করতে কত সময় লাগবে। শরিফুলের গুরুত্বের কথা চিন্তা করে আমরা ওর মেডিক্যাল চিকিৎসা নিয়ে সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করছি। যেন ও নিরাপদে খেলায় ফিরে আসতে পারে।’

এর আগে হাতে সেলাই বা চোট নিয়ে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে অনেক ক্রিকেটারের। তবে শরিফুলের চোট যেহেতু বোলিং হাতে যার ফলে তার জন্য ফেরাটা একেবারে সহজ হবে না। বাংলাদেশের এই পেসার কবে নাগাদ ফিরতে পারেন আপাতত এটাই দেখার বিষয়।

এদিকে এক সপ্তাহের আগে ফিরতে না পারলে ৮ জুন ডালাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ মিস করতে পারেন শরিফুল। যদিও তা এখনও নিশ্চিত নয়। এদিকে চোট নিয়ে মাঠের বাইরে যাওয়ার আগে বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে ৩.৫ ওভারে ২৬ রান খরচায় সাঞ্জু স্যামসনের উইকেট নিয়েছেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.