বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একটুও বিচলিত ছিল না যুক্তরাষ্ট্র। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই কালিম সানার বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন স্টিভেন টেইলর। দলীয় ৪২ রানে অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলের উইকেট হারায় দলটি। ডিলন হেইলিগারের বলে উইকেটরক্ষক শ্রেয়াস মোভভার হাতে ক্যাচ তুলে দেন মোনাঙ্ক। তারপর ১৩১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন জোনস ও অ্যান্ডরিস গাউস। এই দুজনের ঝড়ে আর কোনো সুবিধাই করতে পারেনি কানাডা।
১৬তম ওভারে গাউসকে ফেরান নিখিল দত্ত। কিন্তু এর আগে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। স্বাগতিকদের জয়ের বন্দরে নিয়ে যান জোনস। চারটি চার ও দশটি ছক্কায় ৪০ বলে ৯৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। তিন উইকেটে ১৯৭ রান করে দলটি, যা আইসিসির কোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সহযোগী সদস্য দেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
এ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করে রেকর্ড গড়ে কানাডা। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে কোনো আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ করে দলটি। দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নাভনিত ধালিয়াল মিলে প্রথম পাঁচ ওভারেই দলকে এনে দেন ৪৩ রান। যুক্তরাষ্ট্র উইকেটের দেখা পায় পাওয়ার প্লের শেষ ওভারেই।
হারমিত সিংয়ের বলে নিতিশ কুমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জনসন। যাওয়ার আগে ১৬ বলে পাঁচটি চারে ২৩ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পর ফিরে যান প্রাগাত সিংও। সাত বলে পাঁচ রান করে রান আউটের শিকার হন তিনি। অল্প সময়ের মধ্যে দুই উইকেট হারানোর পর ধালিয়ালের সাথে অসাধারণ এক জুটি গড়েন নিকোলাস কিরটোন। ৩৭ বলে দুজনে মিলে তোলেন ৬২ রান। ১৫তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন কোরি অ্যান্ডারসন। নিজের প্রথম বলে ৪৪ বলে ৬১ রান করা ধালিয়ালকে বিদায় করেন তিনি।
অ্যান্ডারসনের বল একটু আগেভাগে খেলতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪৪ বলে ৬১ রান করা ধালিয়াল। তারপরই রানের গতি কমে যায় কানাডার। দলীয় ১৫৯ রানে ফিরে যান কিরটোন। ৩১ বলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় ৫১ রান করে আলী খানের বলে অ্যান্ডারসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। শেষদিকে শ্রেয়াস মোভভার ১৬ বলে অপরাজিত ৩২ এবং দিলপ্রিত বাজওয়ার পাঁচ বলে ১১ রানের ইনিংসে লড়াই করার মতো সংগ্রহ তোলে কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে একটি করে উইকেট নেন আলী, হারমিত এবং অ্যান্ডারসন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.