বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও শেষ ম্যাচটি হারে বাংলাদেশ। এদিকে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে তারা। যেখানে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। এবার বাংলাদেশকে হারতে হলো প্রস্তুতি ম্যাচে, ভারতের বিপক্ষে। যেখানে প্রতিপক্ষের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ব্যাটাররা।
এদিকে জিম্বাবুয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের পর প্রস্তুতি ম্যাচে এসেও ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্তরা। নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই বাড়তি বাউন্স এবং গতি পেয়েছেন পেসাররা। সেটা কাজে লাগিয়ে শুরুতেই আর্শদীপ সিং ফিরিয়ে দিয়েছেন সৌম্য সরকার ও লিটনকে। বাকিদের তোপে ফিরেছেন তানজিদ হাসান তামিম, শান্ত এবং তাওহীদ হৃদয়। ১৮৩ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে নড়বড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসান ৭৫ রানের জুটি কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। পুরো ম্যাচ জুড়ে নিজেদের ব্যাটিংয়ের পুরনো ছবিটাই ভাসিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন ব্যাটাররা।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় না (পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু হয়েছে)। কিন্তু বোলাররা দারুণ করেছে। শরিফুল এবং রিশাদ যেভাবে ওই দুই ওভার বোলিং করেছে সেটা নিয়ে সত্যিই খুশি। কিন্তু আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি। আশা করি বিশ্বকাপের মূল খেলায় স্পেশাল কিছু করব।’
নিজেদের আরও বেশি সাহসী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শান্ত বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই (আত্মবিশ্বাসে কতটা ঘাটতি হলো)। কিন্তু পূর্বে কি হয়েছে সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা সবাই জানি আমাদের সামর্থ্য কতটা। আমাদের সাহসী হতে হবে এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার জন্য চোটে পড়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। অনুশীলনে ফিরলেও ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলানো হয়নি ডানহাতি এই পেসারকে। এদিকে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর ভারতে গিয়ে আইপিএলে খেলেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর দেশে ফিরে খেলেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও তিন ম্যাচে খেলা মুস্তাফিজকে তাই বিশ্রাম দিয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামে বাংলাদেশ। তারা দুজন ফিরলে চিত্র ভিন্ন হবে বলে জানিয়েছেন শান্ত।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.