ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় হয়ে সরকার গঠনের দাবি করেছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর জোট-ইন্ডিয়া। শনিবার (১ জুন) সপ্তম পর্বের ভোটগ্রহণের পর ইন্ডিয়া’র সহযোগী দলগুলোর বৈঠক শেষে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে এ দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ইন্ডিয়িা জোট ২৯৫টি আসনে বিজয়ী হবে।
বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, বিজেপি ভোটগণনা নিয়ে কারচুপির আশ্রয় নিতে পারে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবিতে রবিবার ‘ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনের দফতরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
খবর আনন্দবাজার পত্রিকার
শনিবার বিকেলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের দিল্লির বাড়িতে বিজেপি বিরোধী জোটের নেতাদের ঘরোয়া বৈঠক হয়। এ বৈঠকে কংগ্রেসের সনিয়া গান্ধী, রাহুল, প্রিয়ঙ্কার পাশাপাশি এনসিপি (শরদ) সভাপতি শরদ পওয়ার, আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, আরজেডির তেজস্বী যাদব, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, জেএমএম নেত্রী কল্পনা সোরেনের মতো জোটের প্রথম সারির নেতানেত্রীরা হাজির ছিলেন। ডিএমকের তরফে ছিলেন টিআর বালু। তবে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি বৈঠকে যাননি।
কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, লোকসভা ভোটে আসন জয়ের বিষয়ে কোন দলের কাছে কী ‘তথ্য’ রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে শনিবারের বৈঠকে। সেই সঙ্গে আলোচ্য বিষয় ছিল ৪ জুনের ভোটগণনার দিনের প্রস্তুতি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খড়্গে বলেন, ‘‘জোটের সব নেতার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তা থেকে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি ‘ইন্ডিয়া’ কম করে ২৯৫টি আসনে জিতবে। এর চেয়ে কম হবে না, বরং বেশিই হবে।’’ ভোটগণনা নিয়ে কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবিতে রবিবার ‘ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনের দফতরে যাবেন বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে টিভি চ্যানেলে বুথফেরত সমীক্ষা সংক্রান্ত বিতর্কে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তারা কোনো টিভি চ্যানেলে বুথফেরত সমীক্ষা সংক্রান্ত বিতর্কে অংশ নেবেন না। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, ভোটদাতারা তাঁদের ভোট দিয়েছেন এবং তাঁদের রায় নিশ্চিত হয়েছে। গণনার ফল প্রকাশিত হবে ৪ জুন। তার আগে, আমরা টিভি চ্যানেলের টিআরপির জন্য জল্পনা-কল্পনা এবং দ্বৈরথে লিপ্ত হওয়ার কোনও কারণ দেখছি না। তাই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে কোনও বিতর্কে অংশ নেবে না।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.